নিজস্ব প্রতিবেদক
আগের প্রান্তিকের ধারাবাহিকতায় চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকেও (২০১৯ সালেরে অক্টোবর-ডিসেম্বর) লোকসান করেছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সরকারি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সরবরাহ করা আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ডিএসই জানিয়েছে, চলতি হিসাব বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান করেছে ২১ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছিল ২০ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে লোকসান করায় অর্ধবার্ষিক (২০১৯ সালের জুলাই-ডিসেম্বর) হিসাবেও কোম্পানিটির লোকসানের পাল্লা ভারী হয়েছে। চলতি হিসাব বছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৯৬ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটি শেয়ার প্রতি ৫৭ পয়সা মুনাফা করেছিল। লোকসানে পড়ার কারণ হিসেবে কোম্পানিটি জানিয়েছে, একদিকে মূলধনী মুনাফা কমেছে, অন্যদিকে সুদজনিত ব্যয় বেড়েছে। এ কারণে লোকসানের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি নগদ অর্থ সংকটেও পড়েছে। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি পরিচালন নগদ প্রবাহ বা ক্যাশ ফ্লো ২০১৯ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ৩ টাকা ৪১ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি পরিচালন নগদ প্রবাহ ছিল ৩ টাকা ৯৮ পয়সা। ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক হওয়ার অর্থ হলো নগদ অর্থের সংকট দেখা দেয়া। যে প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ ফ্লো যত বেশি ঋণাত্মক, ওই প্রতিষ্ঠানের নগদ অর্থের সংকট ততো বেশি। এদিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য আগের হিসাব বছরের তুলনায় কমেছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৪৩ পয়সা, যা ২০১৯ সাল জুন শেষে ছিল ৪০ টাকা ৫২ পয়সা। সম্পদের এই ধস নামার কারণ হিসেবে কোম্পানিটি জানিয়েছে, শেয়ারের বাজার দর কমে যাওয়ার কারণে শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য কমেছে।