নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার বেজগাঁও ইউনিয়ন নদীর গাঁওদিয়া লৌহজং-তেউটিয়া, কুমারভোগ, মেদেনীমন্ডল, বৌলতলী, খিদিরপাড়া ইউনিয়ন নদীর পাড়ের বাড়িগুলোতে গতকাল বুধবার থেকে বন্যার পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেজগাঁও ৩নং ওয়ার্ডের সুনদিশা নদীর পাড়, গাঁওদিয়া বাজার সংলগ্ন শ্বমুর বাড়ি এলাকা, লৌহজং-তেউটিয়া ব্রাহ্মনগাঁও স্কুলের পাশে, খিদিরপাড়া ক্ষেতেরপাড়া নদী সংলগ্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, আর এক সপ্তাহে বাড়ির আঙিনায় পানি উঠে যাবে। অনেকের ধারণা এ বছর পানি অনেক বেশি হবে।
বেজগাঁও ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের মৃধা জানান, আমাদের ৩নং ওয়ার্ডে নদীর পানি গতকাল প্রবেশ করেছে। নদীর পানি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেকোন সময় প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করা শুরু করতে পারে। এই ওয়ার্ড দিয়ে পানি প্রবেশ করলে ১নং ও ২নং ওয়ার্ডের অনেক বাড়ি পানিতে তলিয়ে যাবে।
নদীর পাড়ের বাসিন্দা মো. আজিজ খান, মো. বাবু বেপারী, নাজমা বেগম, জাহানারা বেগম, মো. নূর হোসেন খান, আনোয়ারা বেগম জানান, আমাদের উঠানে পানি আছে। আর দুই একদিনের মধ্যে ঘর থেকে বাহিরে পানিতে ভরে যাবে। আমরা কোথায় যাব। টিভিতে দেখেছি অনেক জেলায় মানুষের ঘর-বাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। আমাদের এখানে কি অনেক পানি হবে? আমাদের রাত কাটে ভয়ে। দিনে তেমন ভয় লাগে না। আমরা কোথায় যাব -এমন নানান প্রশ্ন তাদের মুখে।
বেজগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ফারুক ইকবাল মৃধা জানান, দেশের অনেক জেলা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। আমাদের এলাকার কিছু জায়গায় প্রভাব পড়বে। আমরা বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হই এজন্য প্রাথমিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আমাদের ইউনিয়নে দুই-একদিনের মধ্যে মাইকিং করে এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হবে।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল আউয়াল জানান, আমাদের সরকার যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সর্বদা প্রস্তুত। এছাড়া তিনি আরো বলেন, লৌহজং উপজেলার পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় বন্যার পানির কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে। তবে সাধারণ মানুষের সবরকম সাহায্য সহযোগিতায় আমরা উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত আছি। আমি নিজে নদীর পাড়ে গিয়ে দেখে এসেছি। এখনো তেমন পানি বৃদ্ধি পায়নি। আমরা প্রস্তুত রয়েছি।