নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার বেজগাঁও ইউনিয়নের মালিরঅংক বাজার সংলগ্ন বেইলি ব্রীজের প্রবাহমান খাল অনেক আগেই ভরাট হয়ে গেছে। কিন্তু দাঁড়িয়ে আছে রাস্তার থেকে কম প্রশস্ত ছোট বেইলী ব্রীজ। যানবাহন চলাচলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দেখার কেউ নেই। খাল ভরাটে স্থানীয় প্রশাসন নীরব, নেই কোন তৎপরতা। ভাঙ্গা বেইলী ব্রীজের অংশে অনেক গাড়ির চাকা পড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। বড় দূর্ঘটনার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লৌহজং উপজেলার মালিরঅংক বাজার সংলগ্ন ব্রীজটির প্রথম অংশ ভাঙ্গা। ব্রীজের ফাটল আছে বিভিন্ন জায়গায়। বেইলী ব্রীজের উওর পাশের খাল ভরাট হয়ে গেছে। খালের ভরাট জায়গায় বিল্ডিং ও ঘর-বাড়ি দেখা যায়। নিচে পানি শুকিয়ে গেছে। ময়লা দেখা যায়। এছাড়া ব্রীজের দক্ষিণ পাশে পুকুর আছে। প্রধান সড়কে যে বেইলি ব্রীজ আছে তুলনামূলক রাস্তার চেয়ে প্রস্থে ছোট। পাশাপাশি দুইটি যেকোন ছোট গাড়ি পাশ কাটিয়ে যেতে পারে না। যানজট লেগেই আছে। সাধারণ মানুষের অনেকেই বলেন, বেইলি ব্রীজটি যে স্থানে প্রশাসন অফিসের নিকটে, কিন্তু তারা কিছুই দেখে না।
বেইলী ব্রীজ সংলগ্ন দোকানদার মো. আদ্দিস শেখ ও মো. সবুজ বেপারীসহ অনেকেই বলেন, প্রতিদিন প্রশাসনের অনেক লোকজন এ ব্রীজ দিয়ে যাতায়াত করেন তারা কিছুই দেখে না। তাছাড়া খাল তো ভরাট হয়ে গেছে ব্রীজের কি দরকার। ব্রীজ ভেঙে রাস্তা চাই। বিভিন্ন উৎসবে সাধারণ মানুষের চলাচলে ভোগান্তি দেখা ছাড়া কিছুই করার নাই।
বেজগাঁও ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. মিজানুর রহমান মিজু বলেন, যেহেতু এখানে খাল ভরাট হয়ে গেছে। আমার ব্যক্তিগত মতামত, বেইলী ব্রীজ ভেঙ্গে রাস্তা হলে ভাল হয়।
বেজগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ফারুক ইকবাল মৃধা বলেন, আমি মালিরঅংক বেইলী ব্রীজটির ব্যাপারে লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে ব্রীজ ভেঙ্গে রাস্তার জন্য বলেছিলাম। তিনি ম্যাপে খাল আছে বলে জানান। তবে আমি দেখেছি, খাল ভরাট হয়ে গেছে। এখন বড় করে কালভার্ট নির্মাণ করে দিলে প্রশস্ত রাস্তা হলে সাধারণ মানুষের চলাচলে অনেকে সুবিধা হয়। বর্তমানে যানজট লেগেই থাকে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা সড়ক ও জনপথ উপ-বিভাগের প্রকৌশলী ফাহিম রহমান বলেন, লৌহজংয়ের মালিরঅংক বেইলী ব্রীজ ভেঙ্গে রাস্তা করার পরিকল্পনা আছে। এছাড়া ব্রীজ যে ভাঙ্গা বা ফাটল বিষয়টি অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।