নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। অন্যের জমি দখল করে তৈরি করেছেন ডুপ্লেক্স বাড়ি।
বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায়, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোজাম্মেল হক পরপর তিনবার তিনি আওয়ামী লীগের ক্ষমতাবলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে দুইবারই তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগ শাসনামলে তিনি জোর-জুলুম করে দখল করে নেন মানুষের জায়গা-জমি। ক্ষমতায় থাকার কারণে তিনি কাউকে পাত্তাই দিতেন না। অথচ সরকার পতনের পর তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন।
চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকের প্রতিবেশী কাজী সোলেমানের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন মো. মোজাম্মেল হক তাদের পৈতৃক সম্পত্তি দখল করে নির্মাণ করেছেন বিশাল অট্টালিকা। জোর করে তাদের জমিতে তৈরী করেছেন রাস্তা। শিমুলিয়া মৌজার আর এস ২০৫ ও ২০৬নং দাগে ২১ ও ৪ শতক জমি তাদের। কিন্তু রেকর্ডে কিছুটা ভুল থাকায় তারা মুন্সীগঞ্জে দেওয়ানী আদালতে মামলা করে ২০১৬ সালে তাদের অনুকূলে রায় পান। এ খবর জানতে পেরে চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক তাদের পৈতৃক সম্পত্তির ২৯ শতাংশ জমি থেকে একটি অংশ জোর করে দখল করে নেন। সেখানে সে নির্মাণ করেন ডুপ্লেক্স বাড়ি। আমরা তার কাছে আমাদের জমি ফেরত চাইলে আমাদেরকে তিনি কোন পাত্তাই দেননি। আমরা আমাদের জমি ফেরত পেতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চেয়ারম্যানের বাড়ির ভেতরে সরকারী সম্পত্তিসহ আরও কয়েকজনের জমি রয়েছে। এক বক্তির ৯৬ শতক জমি চেয়ারম্যান দখল করে রেখেছে। ক্ষমতার জোড়ে সে এসকল জমি দখল করে নিয়েছে। একদিকে তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও অপরদিকে তিনি চেয়ারম্যান। তাই তার কাছে পাত্তাই পায়নি এসব ভুক্তভোগী। এখন ক্ষমতা নেই। গা ঢাকা দিয়েছেন চেয়ারম্যান। ভুক্তভোগীরা এখন মুখ খুলতে শুরু করেছে। এসকল লোকজন তাদের জমি ফেরত পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কমনা করছে।
এছাড়া তিনি ক্ষমতাবলে বিআইডব্লিউএ’র শিমুলিয়া ঘাটের রাস্তা দখল করে বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ করেন। কিন্তু গতবছর বিআইডবিউটিএ সে দেয়াল ভেঙে দিলে তিনি ক্ষমতাবলে নিজস্ব লোকজন নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র লোকজনের প্রতি আক্রমণের চেষ্টা চালান। দীর্ঘদিন তিনি চুপ থাকলেও এখন আবার তিনি সেইখানে বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ করছেন।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকের নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে মোবাইল বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।