নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে চলছে অঘোষিত লকডাউন। আর এ লকডাউনের কারণে শ্রমিক সংকটে পড়েছে মুন্সীগঞ্জের হতদরিদ্র কৃষক। শ্রমিক সংকটে ধান কাটতে না পাড়ায় বিপাকে পড়েছে লৌহজংয়ের অসহায় কৃষকেরা। উপজেলার কনকসার ইউনিয়নের কৃষক বেদু কর্মকার দিশেহারা হয়ে লৌহজং উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মোস্তাক আহম্মেদ নূর নবীর কাছে গিয়ে সহায়তা চায়। আর উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি মোস্তাক আহম্মেদ নূর নবী পাশে এসে দাঁড়ায় এ হতদরিদ্র কৃষকের। মোস্তাকের নেতৃত্বে উপজেলা যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী নিয়ে গতকাল বুধবার ভোর সাড়ে ৪টা থেকে বৃষ্টিতে ভিজে ৯১ শতাংশ জমির পাকা ধান কেটে মাড়াই দিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন। এতে আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে পড়েন কৃষক দেবু।
দেবু জানান, আমার জমির ধান পেকে পড়েছিলো জমিতে। করোনাভাইরাসের কারণে কোন কাজকর্ম করতে পারিনা। হাতে টাকা পয়সাও নাই। সেই সাথে শ্রমিকও পাওয়া যায় না। কোন দিশা না পেয়ে যুবলীগ নেতা মোস্তাকের কাছে গিয়ে সহযোগিতা চাই। সে প্রায় ৪০-৫০ জনের একটি দল নিয়ে আমার জমির পাকা ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে। ধন্যবাদ জানাই এমন নেতাকে।
লৌহজং উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মোস্তাক আহম্মেদ নূর নবী জানান, ভোর সাড়ে ৪টা থেকে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগকে নিয়ে ধান কাটতে আসছি। ১ থেকে দেড় ঘন্টা সময় ধান কাটার পড়ে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। ঝড়ের কারণে কিছু সময় ধান কাটা বন্ধ রেখেছিলাম। কিন্তু আকাশ মেঘলা বৃষ্টিও পড়ছে। তাই পাকা ধানগুলো যেনো ঘরে তুলতে পারে, সেজন্য বৃষ্টিতে ভিজেই ধান কেটে দিয়েছি কৃষকের। তিনি আরও জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদেশক্রমে ও মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলির দিক নির্দেশনায় আমরা সবসময় অসহায় মানুষের পাশে থাকছি। এর আগে রোজা রেখে প্রায় ৫৬ শতাংশ জমির ধান কেটে কৃষকের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। আমরা লৌহজং উপজেলা যুবলীগ ঘোষণা দিয়েছি এ ক্রান্তিলগ্নে যতদিন পর্যন্ত অসহায় কৃষক শ্রমিক সংকট বা অর্থের জন্য পাকা ধান কাটতে না পারবে আমরা তাদের ধান কেটে দিবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ফারুক খালাস, সঞ্চয় মন্ডল, ইমরান হোসেন লিমন, আল আমিন খালাসি, আল-আমিন, সুজন, ফরিদ, দিদার, হাসান, সিফাত, বাপ্পি, জামিল, রাজিব দাসসহ আরও অনেকে।