নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মেদিনীমন্ডল ইউনিয়নের উত্তর মেদিনীমন্ডলে মাওয়া রিসোর্ট সংলগ্ন মাঠে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় মেদিনীমন্ডল ইউনিয়ন ও মৃত শুকুর আলীর পরিবারের সদস্যরা মিলে মানববন্ধন করে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বেঁদে সম্প্রদায়ের দুই কন্যা শিশুর ঝগড়ার রেশ ছড়িয়ে পড়ে অভিভাবকদের মাঝে। একপর্যায়ে অভিভাবকদের মধ্যে মারামারি। এতে করে প্রতিপক্ষের হামলায় মারা যায় এক শিশুর দাদা। এ ঘটনায় লৌহজং থানায় একটি মামলা হয়েছে। লৌহজং থানা পুলিশ ঐ মামলায় দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে। বাকি আসামীদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার এবং মূল হত্যাকারীকে বিচারের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি করেছেন উত্তর মেদিনীমন্ডল এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীর পরিবার। এসময় এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।
উল্লেখ্য, লৌহজংয়ের উত্তর মেদিনীমন্ডলের নিজাম ড্রাইভারের বাড়িতে ভাড়া থাকেন বেঁদে স্বপন ও ফারুকের পরিবার। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বপনের চার বছরের মেয়ে ছোঁয়া মনি ও ফারুকের প্রায় একই বয়সের মেয়ে ফাহিমা খেলার ছলে ছোঁয়া মনিকে ধাক্কা দিলে মুখ ও ঠোঁট কেটে যায় ছোঁয়ার। আর এরপর কথা কাটাকাটি হলে বড়দের মাঝে ঝগড়া ছড়িয়ে পড়ে। স্বপনের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ফারুক দলবল, লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায় এবং স্বপনের বাবা শুকুর আলীর মাথায়, হাতে ও বুকে প্রচন্ড আঘাত করে ফারুকরা। মাথা ফাটা ও হাত ভাঙা অবস্থায় শুকুর আলীকে ঢাকা পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার শুকুর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় লৌহজং থানায় একটি মামলা হয়েছে এবং দু’জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে লৌহজং থানা পুলিশ।