নিজস্ব প্রতিবেদক
লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাট। পদ্মা সেতুকে ঘিরে এ ঘাটটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ বঙ্গের ২২ জেলার মানুষ এ ঘাট দিয়ে পারাপার হয়ে থাকে। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ও লকডাউনে এ পথের সব ধরণের গণপরিবহন ও লঞ্চ চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। তবে স্পিডবোট ও ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলাচল করছে। আর সীমিত আকারে পণ্যবাহী পরিবহণের জন্য ফেরি চলাচল করছে। তবে এ ফেরিতে প্রাইভেটকার ও এ্যাম্বুলেন্স যাতায়াত করতে দেখা যাচ্ছে।
শিমুলিয়া ঘাটে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় যাত্রী উঠানো হচ্ছে। এটি এখান থেকে ছেড়ে যাবে ওপারের মাঝিরঘাটে। তবে এখনো ৬০ জন যাত্রী পরিপূর্ণ হয়নি বলে এটি এখান থেকে ছেড়ে যাচ্ছে না। জন প্রতি ১০০ টাকা করে নেয়া হয় যাত্রীদের কাছ থেকে। দুপুরের কড়া রোদের মধ্যে যাত্রীরা ঠাসাঠাসি করে এখানে বসে আছে। তবে এখানে কোন স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। নেই অনেকের মাস্ক। এখানে যারা দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন তারা করোনার স্বাস্থ্যবিধির কোন তোয়াক্কা করেন না। কারণ তারা নিজেরাই মাস্ক ব্যবহার করেন না। তাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে টাকা আর টাকা। এদিকে অনেক যাত্রী ছুটে চলেছেন ফেরিতে উঠতে। তারা ২৫ টাকা করে টিকিট কাটছেন। স্পিডবোট ছেড়ে যাচ্ছে ওপারে। কিন্তু সেখানেও স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। গাদাগাদি করে বসানো হচ্ছে সবাইকে। লাইফ জ্যাকেট দেয়ার নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না এখানে। তবে করোনা ও লকডাউনে এ পথে তেমন কোন যাত্রীর চাপ নেই। আগের সেই শুনশান পরিবেশ নেই, অনেক ফাঁকা। অনেক স্পিডবোট বেকার বসে আছে। এখানে যেসব দোকানপাট গড়ে উঠেছিল আগত যাত্রীদের লক্ষ্য করে যাত্রী কমে আসায় সেইসব বেশিরভাগ দোকানপাট এখন বন্ধ। লঞ্চ চলাচল বন্ধ। এর ফলে যেসব লোকেরা লঞ্চে হকারি করে জীবন চালাতো তারা এখন বেকার। তবে তারা কোন সরকারি সাহায্য এখনো পায়নি। আবার অনেকেই ফেরি করে হকারি করছে। তারা আবার বিপদে রয়েছে রোজাকে কেন্দ্র করে। সবদিকেই তারা এখন বিপদের মধ্যে রয়েছে।
শিমুলিয়া ঘাট থেকে প্রায় ৮৬টি লঞ্চ চলাচল করে থাকে। লকডাউনের কারণে এসব লঞ্চ ঘাটে বেকার বসে আছে। এসব লঞ্চে কম করে হলেও ৬ জন করে স্টাফ কাজ করে থাকে। আজ তারা সবাই বেকার। প্রথম প্রথম লঞ্চ মালিকরা খোরাকি ভাতা দিয়েছে। কিন্তু এখন তা দিচ্ছে না। এর ফলে তারা এখন অনেকটাই কষ্টের মধ্যে জীবনযাপন করছেন।
শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী পারাপারে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত
আগের পোস্ট