নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের খোদাই বাড়ি গ্রামের আর্সেনিকমুক্ত একটি টিউবওয়েলের উপর নির্ভর করতে হয় প্রায় ২৫০ জন মানুষকে। তবে এ গ্রামে আরো কিছু টিউবওয়েল থাকলেও সেগুলো আর্সেনিকযুক্ত। তাই এই একটি টিউবওয়েলের উপর নির্ভর করতে হয় এ গ্রামের মানুষের। বর্ষা মৌসুমে তাদের দুর্ভোগ আরো বেড়ে যায়। পূর্ব পাড়ার লোকজনদের খাল পার হয়ে পশ্চিম পাড়ায় এসে পানি নিতে হয়। তাই স্থানীয়দের দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন দুই পাড়ায় দুইটি টিউবওয়েল বসায়। তাহলেও দুর্ভোগ কিছুটা কমবে। স্থানীয়রা আরো বলেন, যে টিউবওয়েলটি এখন আছে তাতেও পানি কম বের হয়। আবার কিছুক্ষণ দেরি হলে পানির স্তর নিচে চলে যায়। তখন পানি উঠাতে গেলে প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টার পরে পানি বের হয়। স্থানীয়রা জানান, আমরা আর্সেনিকমুক্ত টিউবওয়েল চেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানের বরাবর আবেদন করতে গিয়ে জানতে পারি বরাদ্দ নাই। তাই আর আবেদন করা হয়ে ওঠেনি। পানি নিতে আসা জোছনা বেগম জানান, পানির অপর নাম জীবন। পানি ছাড়া গৃহস্থালির কোন কাজ সম্ভব না। রান্নার পানি, খাওয়ার পানির জন্য আমাদের এলাকার শত শত মানুষের খোদাই বাড়ি এলাকার একটিমাত্র আর্সেনিকমুক্ত টিউবওয়েলের উপর নির্ভর করতে হয়। আরো টিউবওয়েল থাকলেও তা আর্সেনিকযুক্ত। তাই ঐ পানি কেউ ব্যবহার করে না। এ বিষয়ে শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা আক্তার মুঠোফোনে জানান, শ্রীনগর উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের খোদাই বাড়ি এলাকাবাসী আর্সেনিকমুক্ত টিউবওয়েল চেয়ে একটি আবেদন করলে বিষয়টি গুরত্ব দিয়ে বিবেচনা করে এই সমস্যার সমাধান করা হবে। তাছাড়াও এই দুর্ভোগের বিষয়টি ওখানকার স্থানীয় চেয়ারম্যানকেও জানাতে পারে। সরকারি বরাদ্দ আসলে ঐএলাকায় অগ্রাধিকার দিয়ে আর্সেনিকমুক্ত টিউবওয়েল বসানো হবে।