নিজস্ব প্রতিবেদক
আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানির পশুর হাটগুলো ইজারা নিতে প্রস্তুতি চলছে। এখনও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ঘোষণা না আসলেও স্থানীয় ইজারাদাররা ডাক নেয়ার আশায় প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এমনটাই জানা যায়। তবে সচেতন মহল মনে করেন, করোনা মোকাবেলায় ইজারাদারগণ পশুর হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হাটের কার্যক্রম চালাতে পারবে কিনা? এছাড়াও প্রতি বছর লক্ষ্য করা যায়, উপজেলা প্রশাসনের ইজারাকৃত মোট হাটের বাহিরেও উপজেলার বাড়ৈখালী শিবরামপুরে, কুকুটিয়া স্কুল মাঠে, আটপাড়া, বাড়ৈগাঁও বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে মিনি পশুর হাট বসানো হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ এড়াতে যত্রতত্র এসব মিনি পশুর হাটগুলো বন্ধ রাখার দাবী জানান স্থানীয়রা। এতে করে একদিকে বৈধ ইজারাকৃত হাটগুলো যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ে। অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব আয়করও ফাঁকি দেওয়া হয়। সুশীল মহল মনে করেন, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন করোনা রোধে যত্রতত্র গরু ছাগল কেনা বেচার হাটগুলো বন্ধ করতে হবে। তা না হলে জনসমাগম স্থলে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকাংশে বেড়ে যাবে। সূত্রমতে জানা যায়, গত ২০১৯ সনে শ্রীনগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোরবানি উপলক্ষে ৪টি অস্থায়ী গরুর হাটের ইজারা হয়। এছাড়াও উপজেলার দেউলভোগ একমাত্র নিয়মিত গরুর হাট রয়েছে। প্রতিবছর বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্যাপক কোরবানির গরু কেনাবেচা হয়ে থাকে দেউলভোগ হাট থেকে। দেউলভোগ হাটের ইজারাদার জহিরুল হক নিশাত সিকদার বলেন, করোনা মোকাবেলায়ও উপজেলা প্রশাসনের দিকনির্দেশনা মেনে কোরবানির পশুর হাটে গরু ছাগল কেনাবেচা হবে। করোনা সংক্রমণ এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হবে। করোনা রোধে কোনও অসাবধানতা চলবেনা। আগ্রহী ক্রেতাগণ যাতে সুন্দর পরিবেশে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তাদের পছন্দের গরু কিনে নিতে পারেন সেই লক্ষ্যে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হবে। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, বিগত দিনে অস্থায়ী হাটের মধ্যে ভাগ্যকুল কেদারপুর হাট কাজী ফজলুল হক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে, ভাগ্যকুল মান্দ্রা হাট হরেন্দ্রলাল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে, বেলতলী হাট জিজে উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ও বাঘড়া হাটটি নদীর পাড়ে বসানো হয়। একটি সূত্র জানায়, ২০১৯ সনের আগে কেদারপুর, মান্দ্রা ও বাঘড়ার অস্থায়ী পশুর হাটগুলো নামে মাত্র ইজারা নিয়ে বাণিজ্য করে আসছিল সিন্ডিকেট মহল। গত বছর উপজেলার ভাগ্যকুল ও বাঘড়া এলাকায় হাট ডাকের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এলাকায় চলে গ্রুপিং। এতে করে হামলা, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াসহ পাল্টাপাল্টি অভিযোগও রয়েছে। গরু ছাগল হাটকে কেন্দ্র করে অভিযোগ রয়েছে পদ্মা নদী থেকে পাইকারদের গরু বোঝাই ট্রলার আটক করে ভাগ্যকুল এলাকার হাটে নিতে বাধ্য করতেন হাট সিন্ডিকেট। এসব ঘটনায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাম্মৎ রহিমা আক্তারের সাথে কোরবানির পশুর হাট ইজারা সংক্রান্ত বিষয়ে আলাপ করা হলে তিনি জানান, অবৈধ হাট যারা বসাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং গরুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হাটের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ দেয়া হবে।