নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে করোনা টিকা দেওয়া নিয়ে লাইনের দ্বন্দ্বে হামলা, মারধর ও আঙ্গুল কেটে নেওয়ার প্রতিবাদে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার মজিদপুর দয়াহাটা কে.সি. ইনস্টিটিউশন মাঠে মানববন্ধন করা হয়। কে.সি. ইনস্টিটিউশন এর এসএসসি পরীক্ষার্থী ও মজিদপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ মামুনের ছেলে মিহাদ পারভেজের হাতের একটি আঙ্গুল কামড়ে কেটে নেয় একই গ্রামের আলী আকবর ও তার স্ত্রী আসমা বেগম। মিহাদের বাবাকেও মারধর করলে বাবা ছেলে দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। থানায় অভিযোগ করা হলেও ৩ দিনে কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। তাই এলাকাবাসী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে। কে.সি. ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক নিতাই চন্দ্র দাস জানান, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সাথে শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি একাত্বতা ঘোষণা করে তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তির দাবী জানান। মিহাদ পারভেজের স্বজনরা জানান, গত ৮ আগস্ট রবিবার টিকার লাইনে দাঁড়ায় মিহাদের মা। সেখানে আলী আকবর খারাপ ব্যবহার করে। এরপর গণ্যমান্যরা সমাধান করে দেয়। বাড়ি যাওয়ার সময় পথ রোধ করে মিহাদের বাবাকে মারধর করে মিহাদ ছাড়াতে গেলে কামড় দিয়ে তার একটি আঙ্গুল কেটে মুখে নিয়ে নেয় আলী আকবর। এসময় তার স্ত্রী আসমা বেগম মিহাদকে ধরে আটকে রাখে। এর আগে বিদেশগামী আরো এক ব্যক্তির আঙ্গুল একইভাবে কামড়ে কেটে নিয়েছিলো এই আলী আকবর। তাই উপজেলার পাকিরাপাড়া গ্রাম থেকে তাকে বিতাড়িত করে। এখন মজিদপুর গ্রামে এসে একই ঘটনা ঘটায়। এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে এ মানববন্ধন করা হয়। শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হেদায়েতুল ইসলাম ভূইয়া জানান, তারা দুইপক্ষ তো মিলে যাওয়ার কথা শুনেছি। পরে তারা কেউ আমার কাছে আসে নাই। এখানে মানববন্ধন করার মত তো কিছু হয়নাই। দুইপক্ষই মারামারি করেছে ও কামড় দিয়েছে। একজনের কানে কামড় দিয়েছে, আর আরেকজনের আঙ্গুল কামড়ে কেটেছে। অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।