নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে প্রায় আড়াই কোটি টাকায় নবনির্মিত ব্রীজে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। তথ্যানুসন্ধানে জান যায়, আই.আর.আই.বি.টি – ২ এর অর্থায়নে ২, ৩৮, ৪, ৭২৮ টাকায় সংশোধিত প্রাক্কলিত মূল্যে কার্যাদেশ পায় মেসার্স খাজা চিশতিয়া এন্টারপ্রাইজ নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। শ্রীনগর সদর পোস্ট অফিসের পশ্চিম দিকে খালের উপর তিন স্প্যান বিশিষ্ট ৩৫ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৭, ৩ মিটার প্রস্থ এ গার্ডার ব্রীজটির কাজ শুরুর তারিখ ছিল ০১ /০৭/২০১৭ ইং। বর্তমানে ব্রীজটির অধিকাংশ কাজ সম্পন্ন হলেও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অনিয়ম আর নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলেছেন সুশীল সমাজের লোকজন। এলাকাবাসীর দাবি, যে ঠিকাদার এপ্রোচ নির্মাণের মত ছোটখাট কাজে অধিক মুনাফার আশায় দূর্নীতির আশ্রয় নিতে পারে, সে এত বড় ব্রীজ নির্মাণে তাহলে কি করেছে? অনেকের প্রশ্ন সিডিউল অনুযায়ী কি ব্রীজটি করা হয়েছে? না-কি সেখানেও রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি? তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট মহলের ঊর্ধ্বতনদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল। গত ২৮ জুন বেলা ১২টায় সরেজমিেেন গিয়ে দেখা যায়, ব্রীজের উত্তর পাদদেশে ২০ মিটার এপ্রোচ সড়কের ফ্ল্যাট সোলিং এর কাজ হচ্ছে পুরাতন নিম্নমানের পঁচা ইট দিয়ে। এ বিষয়ে ঠিকাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরে কথা হবে। তদারকি কর্মকর্তা সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মমিন জানান, কোন অনিয়ম থাকলে আমার অগোচরে হয়েছে। আমি কি ঠিকাদারের সাথে বসে থাকবো নাকি ?
শ্রীনগর উপজেলা প্রকৌশলী রাজিউল্লাহ বলেন, ঠিকাদার কোন অনিয়ম করলে আমরা তার সাথে মারামারি করবো নাকি ? প্রয়োজন হলে ঐ সমস্ত নিম্নমানের ইট উঠিয়ে ফেলতে বলবো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রহিমা আক্তার বলেন, আমরা চাই টেকসই উন্নয়ন। সরকারের উন্নয়ন কাজে কোন অনিয়ম দূর্নীতি সহ্য করা হবেনা। সে যেই হোকনা কেন অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে।