নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের জগন্নাথ পট্টির মরহুম আব্দুল আজিজ মৃধার পুত্র বৃক্ষপ্রেমী মো. মোতালেব মৃধা গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন ফলজ বাগান। তার বাগানে রয়েছে কমলা, মাল্টা, জাম্বুরা, কাঁঠাল, আম, কলা, পেঁপেসহ বিভিন্ন ধরণের ফলজ গাছ। শখের বসে নিজস্ব জমিতে এসব মৌসুমী ফলের বাগান গড়ে তুলেন তিনি। ৫ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তানের জনক বৃদ্ধ মোতালেব মৃধা বৃক্ষপ্রেমী হিসেবেও এলাকায় পরিচিত। এছাড়া মোতালেব মৃধা সরকারি তালিকাভুক্ত একজন কৃষক। সন্তানরা সবাই ইতালী প্রবাসী। বসতবাড়ি ছাড়াও ওই এলাকায় তার ৪টি বাগানবাড়ি রয়েছে। এসব বাগানে বিভিন্ন ফলজ গাছ রোপণ করা তার এখন নেশায় পরিণত হয়েছে। সুযোগ পেলেই পছন্দের বিভিন্ন ফলজ, ঔষধি ও বনজ গাছ-গাছালির চারা রোপণ করেন তিনি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভাগ্যকুলের ৩নং ওয়ার্ডের জগন্নাথ পট্টিতে একটি কমলা ও মাল্টার বাগান। বেশকিছু গাছে থোকায় থোকায় কমলা ও মাল্টা দেখতে পাওয়া যায়। বাগানের পরিচর্যা করছেন মোতালেব মৃধা। এসময় তার সাথে আলাপ করে জানা যায়, শখের বসে দুই বছর পূর্বে প্রায় অর্ধশতাধিক ভাল জাতের কমলা ও মাল্টার চারা গাছ রোপণ করেছেন। এ বছর প্রায় গাছেই ফল ধরেছে। এর আগে সিলেট ও নরসিংদী থেকে প্রায় ৩ শতাধিক ফলজ চারাগাছ আনেন তিনি। আত্মীয়-স্বজনকে দিয়ে নিজের নতুন বাড়ির ১৪ শতাংশ জায়গায় ৫০টি কমলা ও মাল্টার চারাগাছ রোপণ করেন। এসময় মোতালেব মৃধা তার বাগানবাড়ি ঘুরে দেখান। লক্ষ্য করা যায়, বিশাল বাগানবাড়িতে একটি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। পুরো বাড়ি জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন জাতের ফল ও বনজ গাছ-গাছালি। বাড়ির দক্ষিণ দিকে বড় একটি পুকুরে করছেন বিভিন্ন প্রজাতির মাছচাষ। মোতালেব মৃধা বলেন, এই বাগানবাড়ি ছাড়াও তার আরো কয়েকটি বাগানবাড়ি রয়েছে। এসব বাগানে নানা প্রকার ফলসহ বিভিন্ন জাতের বনজ গাছ রয়েছে। সময় পেলেই এসব বাগান ও গাছের পরিচর্যা করেন। এক আলাপচারিতায় বাণিজ্যিকভাবে ফলের বাগান করার ইচ্ছা পোষণ করেন সমাজসেবক ও বৃক্ষপ্রেমী মোতালেব মৃধা।