নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মসজিদ কমিটির সভাপতি ও তার ছেলের উপর মসজিদে ঢুকে অতর্কিত হামলার অভিযোগ উঠেছে ঐ এলাকার প্রভাবশালী আওয়ামী নেতা মনির হোসেন মিটুলের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের ভাগ্যকুল মান্দ্রা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আগামীকাল সোমবার উভয়পক্ষকে থানায় আসার জন্য বলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভাগ্যকুল মান্দ্রা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজী বজলুর রহমান সরদারসহ অন্যান্য মুসল্লিরা জুম্মার নামাজ আদায় শেষে মসজিদে অবস্থান করাকালে মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ও ভাগ্যকুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন মিটুল তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য ভাগ্যকুল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এমদাদ সরদার (৫০), রবিন সরদার (৩৫), রশিদ সরদার (৬৫), দুলাল সরদার (৪৫), বাবুল খাঁ (৪৭) ও কাউসার খুরা (৫২), দৌলত সরদারসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২০/২৫ জনের একটি দল মসজিদে প্রবেশ করে কমিটির সভাপতি হাজী বজলুর রহমানসহ উপস্থিত কমিটির অন্যান্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। সভাপতি ও তার ছেলে লিংকু সরদার (৩০) প্রতিবাদ করায় মিটুল, দৌলত সরদারসহ অন্যান্যরা তাদেরকে এলোপাথারী কিল, ঘুষি মেরে নীলাফুলা জখম করে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে ভাগ্যকুল মান্দ্রা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সভাপতি হাজী বজলুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জুম্মা নামাজ শেষে আমি কমিটির লোকজন নিয়ে মসজিদের ভিতরে আলোচনা করছিলাম এমন সময় মিটুলসহ তার বাহিনী মসজিদে ঢুকে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে ও আমার ছেলে লিংকু সরদারকে এলোপাথারীভাবে মারধর করে। এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ও ভাগ্যকুল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন মিটুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এলাকার মুসল্লিদের কাছে মসজিদের অনিয়মের কথা শুনে মসজিদে নামাজ আদায় করি এবং সভাপতি হাজী বজলুর রহমানের কাছে মসজিদের হিসাব চাওয়াতে হট্টগোল বাঁধে। পরে আমি ওসি সাহেবকে সংবাদ দিয়ে ঘটনাস্থলে আনি। এ ব্যাপারে শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হেদায়াতুল ইসলাম ভূঞার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক পাই। পরে আমি উভয়পক্ষকে আগামীকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে থানায় আসতে বলেছি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে মীমাংসার জন্য।