নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের ৬টি উপজেলার সর্বত্রই মধু বৃক্ষ খেজুর গাছ তোলার ধুম পড়েছে। আর মাত্র কয়েকদিন পরই গ্রাম বাংলার গৌরব আর ঐতিহ্যের প্রতীক মধু বৃক্ষকে ঘিরে গ্রামীণ জনপদে শুরু হবে এক উৎসবমুখর পরিবেশ। মধু বৃক্ষ থেকে গাছিরা সংগ্রহ করবে সুমিষ্ট খেজুরের রস। তৈরি হবে লোভনীয় গুড় ও পাটালী। রস জ্বাল দিয়ে ভিজানো পিঠা ও পায়েস খাওয়ার ধুম পড়বে প্রতিটি গ্রামীণ জনপদে। সৃষ্টি হবে গ্রামবাংলার এক নতুন আমেজের। একসময় মুন্সীগঞ্জ খেজুরের রস, গুড় ও পাটালী উৎপাদনে প্রসিদ্ধ ছিল। দেশের বাইরেও এর বেশ কদর রয়েছে। অতীতে এখানকার খেজুর রসের যে যশ ছিল বর্তমানে সে যশ হারিয়ে যাচ্ছে। গ্রামবাংলার সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক এ খাতে সরকারী কোন পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় বর্তমানে আগের মত রস, গুড় উৎপাদন হয় না। ইতোমধ্যে শহরের লোকজন গ্রামের গাছকাটা গাছিদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছে। আবার গাছিদের আগাম টাকা দিচ্ছেন ভাল গুড় ও পাটালী পাবার আশায়। আগাম টাকা পেয়ে অনেক গাছি রস সংগ্রহের উপকরণ তৈরি করছেন। শ্রীনগর উপজেলার বরিবরখোলা গ্রামের গাছি ইউনুছ আলী জানান, এ বছর গাছিরা আগেভাগেই খেজুর গাছ তোলা শুরু করেছে। এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত শীত জেঁকে না বসলেও গাছিরা খেজুর গাছ তোলা, চাঁচ দেওয়া, দা তৈরি, দড়ি ও মাটির কলস (ভাড়) কেনা, রস জ্বালানোর স্থান তৈরি করাসহ যাবতীয় কাজ পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে। আসন্ন শীত মৌসুমকে ঘিরে গ্রাম বাংলার চিত্র পাল্টে গেছে। মুন্সীগঞ্জে ৬টি উপজেলার এমন কোন গ্রাম নেই যেখানে কমবেশি খেজুর গাছ নেই। এসব গ্রামের গাছিরা খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে।