নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, সমাজের বিত্তবানদের অর্থনৈতিকভাবে পশ্চাৎপদ শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। বর্তমান সরকার, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী এবং বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি বিত্তবানরা পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ালে, পরস্পরের দুঃখ-কষ্ট ভাগাভাগি করে নিলে আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির ধারা আরও ত্বরান্বিত হবে।
গতকাল সোমবার মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা, মিরকাদিম পৌরসভা, আধারা, চরকেওয়ার ও বাংলাবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার মাদ্রাসার এতিম শিশু, শিক্ষার্থী এবং শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণকালে এ কথা বলেন তিনি। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র হাজী আব্দুস সালাম, আধারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, বাংলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন পীর, আধারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামছুল কবির মাস্টার, পৌর কাউন্সিলর আব্দুল জলিল মাতবর, আওলাদ হোসেন, রহিম বাদশা প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বৈশি^ক মহামারি করোনার ভয়াবহ অভিঘাতের মধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ^ব্যাপী ব্যাপক অর্থনৈতিক মন্দা ও অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। ভয়াবহ এই বৈশি^ক সঙ্কটের মধ্যেও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। ভূমিহীন, গৃহহীন থেকে শুরু করে দুস্থ ভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতার আওতায় এনে অসহায় মানুষকে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে সরকার। অর্থনৈতিকভাবে পশ্চাৎপদ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে দারিদ্র ও অতিদারিদ্র্যের হার হ্রাস পাচ্ছে। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানরাও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালে আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির ধারা আরও ত্বরান্বিত করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, এ বছর শৈতপ্রবাহের কারণে তীব্র শীতে কাঁপছে প্রকৃতি। বর্তমান সরকার এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যথাসাধ্য শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তিগত পর্যায়েও সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অনেকে। এসব উদ্যোগের সাথে সাথে সমাজের বিত্তবানরাও অর্থনৈতিকভাবে পশ্চাৎপদ শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ালে মানুষের কষ্ট অনেকটা লাঘব করা সম্ভব হবে।