নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের একক সিদ্ধান্তে চলছে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম। মানা হচ্ছেনা স্বাস্থ্যবিধি। সরকারি প্রজ্ঞাপন না থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে প্রধান শিক্ষক মোঃ নাসির উদ্দিনের একক সিদ্ধান্তে। এমনই অভিযোগ তুলেন অভিভাবকেরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে স্কুল পোশাক পড়া কয়েকশত শিক্ষার্থীর সাথে অভিভাবকদের উপস্থিতি। একজন অভিভাবক আক্ষেপ করে বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে আমাকে এখানে আসতে হয়েছে। এসে দেখি শত শত ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি। অন্য আরেকজন অভিভাবক বলেন, আমার বড় ভাই বিদেশে থাকায় আমার ভাতিজিকে আমি নিজেই স্কুলে নিয়ে এসেছি। এসে দেখি শত শত ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের উপস্থিতি। এ বিষয়ে একজন সহকারী শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে প্রত্যেক অভিভাবকদের ফোনে এবং মেসেজ করে জানিয়েছি স্কুলে আসার জন্য। একাধিক অভিভাবকদের সাথে কথা বললে তারা ক্ষোভের সাথে সাংবাদিকদেরকে বলেন, মুন্সীগঞ্জ জেলায় করোনা আক্রান্তের দিক থেকে সিরাজদিখান উপজেলা ৫ শতাধিক রোগী নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে। এই সময়ে প্রধান শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিনের নির্দেশে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের স্কুলে আসায় ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে। এ ব্যাপারে ইছাপুরা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে যান এবং বলেন, আপনি কার পারমিশনে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের ছবি তুলেছেন। তিনি দাম্ভিকতার সাথে বলেন, ছবি তুলেছেন তো, এখন যা পারেন করেন। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী আব্দুল ওয়াহিদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ইছাপুরা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের তারাতো সচেতন, কিভাবে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করেছে এটা আমার বোধগম্য নয়।