নিজস্ব প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, সামাজিক শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে সুসংহত করতে জনগণের সাথে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সেতু বন্ধন গড়ে তুলতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের মধ্য দিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
গতকাল সোমবার গজারিয়া উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটি ও উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির পৃথক দুটি সভায় এসব কথা বলেন তিনি। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান সাদীর সভাপতিত্বে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নেকী খোকন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা আক্তার আঁখি। সভায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সকল দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে সামাজিক শৃঙ্খলা। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে আমাদের সমাজ ও ব্যক্তি জীবনে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পায় অন্যদিকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে সমাজ জীবনে সুশৃঙ্খলতা ও শান্তি বিরাজিত থাকে। আর একটি শান্তিপ্রিয় সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই আমরা আমাদের অনাগত প্রজন্মকে কাক্সিক্ষত লক্ষে পৌঁছে দিতে সক্ষম হবো।
তিনি বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা নির্ভর করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উপর। এজন্য সুশাসন নিশ্চিত করতে হলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি সাধন অপরিহার্য। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত হওয়া মানেই মানবিক ও কল্যাণকর কাজে আত্মনিবেদন। এই মঙ্গল অভিযাত্রায় প্রত্যেকটি সচেতন মানুষের অংশগ্রহণের অধিকার ও দায়িত্ব রয়েছে। শুধুমাত্র আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর নির্ভর করলে আইন-শৃঙ্খলা ও সামাজিক অপরাধ দমন পরিপূর্ণভাবে সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস-মাদক, ইভটিজিং, জঙ্গিবাদ, কুসংস্কার, প্রতিহিংসা পরায়ণ সমাজে আমরা যতই চেষ্টা করিনা কেন, যতো উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত করার প্রয়াশ চালায় না কেন তাতে শুভ ফল বয়ে আনবে না। এজন্য সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে অপরাধের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। অপরাধের ভিত্তিমূল মাদকের করালগ্রাস থেকে সমাজকে রক্ষা করতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে মাদকব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে হবে এবং মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করে মাদকসেবীদের সুষ্ঠু সমাজে ফিরিয়ে আনতে হবে।
তিনি বলেন, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে একসময়ের অনিশ্চয়তার গিরি-খাতে নিপতিত বাংলাদেশ আজ অপার সম্ভাবনা জাগিয়ে উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন আর তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। তার হাত ধরেই এরই মধ্যে স্বল্পোন্নত থেকে দেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ।