নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে অজ্ঞাত পরিচয়ে এক বৃদ্ধা (৬০) এর মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। গত শুক্রবার বিকালে উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আবিড়পাড়া গ্রামের মৃত শামসু তালুকদারের বাড়ীর একটি দোচালা টিনের বসতঘর থেকে ওই বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের ধারনা পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে ঘরের আঁড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। অজ্ঞাত ওই বৃদ্ধার আত্মহত্যাকে ঘিরে ইতিমধ্যে রহস্যের দানা বাঁধতে শুরু করেছে স্থানীয় লোকজনের মাঝে। এদিকে পুলিশ বলছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত হত্যা না আত্নহত্যা বলা যাচ্ছে না। এলাকাবাসীর প্রশ্ন ওই বৃদ্ধা ওই ঘরে কি করে এলো? কেবা তাকে আঁড়ার সাথে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখলো? ওই বৃদ্ধার নাম ঠিকানা এখনো পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, মৃত শামসু তালুকদারের বাড়ীতে দিল বাহারী (৬০) নামে এক বৃদ্ধা ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন। তিনি মধ্যপাড়া ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল জাব্বারের স্ত্রী। গত শুক্রবার দুপুর আনুমানিক দেড়টার দিকে তিনি ঘরের পাশে রান্না ঘরে রান্না করছিলেন। রান্নাঘর থেকে এসে দেখেন তার ঘরের দুয়ারে একজন বৃদ্ধ মহিলা শুয়ে আছে। পরে ওই মহিলার কাছে নাম ঠিকানা জানতে চাইলে কিছুই বলেননি। তার পর তিনি ওই বৃদ্ধাকে ঘরের দুয়ারে রেখেই রান্না ঘরে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পরে ভাড়াটিয়া ওই বৃদ্ধা তার ঘরে ঢুকে দেখেন ওই বৃদ্ধা আঁড়ার সাথে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছে। পরে ভাড়াটিয়া বৃদ্ধা বাড়ীর মালিক বাবু তালুকদারসহ এলাকার লোকজনকে ঘটনার বিষয় জানান। পরে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেন।
ভাড়াটিয়া দিল বাহারী বেগম বলেন, আমি পাকঘরে গিয়ে পাক করছিলাম। ঘরে ঢোকার সময় দেখি একটা মহিলা দুয়ারে শুয়ে আছে। আমি তাকে নাম ঠিকানা জিজ্ঞাস করলাম। সে কিছুই বললো না। পরে আমি পাক ঘরে চলে যাই। পাক ঘর থেকে আবার ঘরে এসে দেখি সে আঁড়ার সাথে ফাঁসি দিয়া ঝুলতাছে। এর আগে আমি তারে কোনদিন দেখিনাই।
বাড়ীর মালিক বাবু তালুকদার বলেন, আমি তখন বাড়ীতে ছিলাম না। আমাকে ফোন করে বাড়ীর লোকজন বিষয়টি জানায়। পরে আমি স্থানীয় মেম্বার ও এলাকাবাসীর মাধ্যমে থানায় খবর পাঠাই। এর বেশী আমি কিছুই জানি না।
সিরাজদিখান থানার এসআই মোঃ মামুন জানান, প্রথমে মনে হচ্ছে আত্নহত্যাই তবে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । রিপোর্ট আসলে বুঝা যাবে।