নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে খালে বিলে নিষিদ্ধ ভেসাল জাল। তদারকির অভাবে উন্মুক্ত মাছের পোনা নিধন। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির নানা প্রকার মাছ। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের খাল-বিলসহ যেখানে সেখানে নিষিদ্ধ ভেসাল ও ধর্মজাল দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে। বর্তমানে চায়না চাঁই ও কারেন্ট জালও যুক্ত হয়েছে। বর্তমানে অনেক প্রজাতির মাছ দেখা যায়না। হারিয়ে গেছে বহু প্রজাতির দেশীয় মাছ। হারানোর পথে আরো অনেক প্রজাতির দেশীয় মাছ। ভেসাল জাল নিষিদ্ধ হলেও উপজেলার সর্বত্রই দেখা যায় এ জাল। এ উপজেলায় মৎস্য অধিদপ্তর থেকে উন্মুক্ত জলাশয়ে প্রতিবছর কয়েকটি পয়েন্টে রুই-কাতল-মৃগেলের পোনা ছাড়া হয়। তাও খাল-বিলে ভেসাল দিয়ে ধরে ফেলছে। উপজেলার বালুচর, চিত্রকোট, রাজানগর, ইছাপুরা, জৈনসার শেখরনগর, লতব্দি, কোলা, মধ্যপাড়া ও মালখানগরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ভেসাল জালসহ বেশ কয়েক ধরনের জাল দিয়ে প্রতিনিয়ত মাছ ধরছে এক শ্রেণির মৎস্যজীবীরা। এ উপজেলায় সব মিলিয়ে ২ শতাধিক ভেসাল জাল, পাইন জাল ও ধর্ম জাল রয়েছে। কোথাও কোথাও একশ মিটারের মধ্যে একাধিক জাল দিয়েও মাছ ধরতে দেখা গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন তদারকি না থাকায় অবাধে এ নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করছে।
বিভিন্ন এলাকার সচেতন অনেকে জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দেশীয় প্রজাতির মাছ এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। নদী-খাল-বিলে আর আগের মতো দেশীয় মাছ পাওয়া যায়না। উন্মুক্ত জলাশয়ে আগে কৈ, শিং, মাগুর, টেংড়া, বাইলা, খৈলসা, টাকি, সরপুঁটি, মলা, মেনিসহ নানা প্রকার মাছ ছিল। নদী-খাল-পুকুরেও রুই, কাতল, মৃগেল, শোল, বোয়াল, কালিবাউস, আইর মাছ পাওয়া যেতো। এখন তা আর নাই। চাষ ছাড়া পাওয়া যায় না।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আক্তার মুন লিন্নাস জানান, উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ রক্ষায় আমরা চেষ্টা করছি। ভেসাল জাল অবৈধ। অনেক স্থান থেকে আমরা তুলে দিয়েছি। তুলে দেওয়ার পর আবার শুরু করে দেয়। এখনো কিছু রয়েছে তাও দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধমে ব্যবস্থা নিয়ে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।