নিজস্ব প্রতিবেদক
মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ ও নির্মম নির্যাতনের স্মৃতি বহনকারী মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার বাবু সুদর্শন গাঙ্গুলির ৮১ শতাংশ সম্পত্তি বেদখলের প্রচেষ্টার প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন পুলিশের অনুরোধে স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় সিরাজদিখান উপজেলার কোলা ইউনিয়নের গৌরীপুরা গ্রামে বাবু সুদর্শন গাঙ্গুলির নিজ বাসভবনে এই সাংবাদিক সম্মেলন হবার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করলেও আগেরদিন গত মঙ্গলবার রাত ১০টায় পুলিশের অনুরোধে তা স্থগিত করেছেন। এ ব্যাপারে জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি এডভোকেট অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ ও নির্মম নির্যাতনের স্মৃতি বহনকারী মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার বাবু সুদর্শন গাঙ্গুলির সম্পত্তি বেদখলের প্রচেষ্টার প্রতিবাদে ও সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধের দাবিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এখানে আমাকেসহ কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন জানান, বাবরী মসজিদকে কেন্দ্র করে সারা দেশে রেডএলার্ট জারি থাকায় সম্মেলনটি দুদিন পরে করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল আয়োজকরা সে অনুরোধ রক্ষা করেছেন। এ ব্যাপারে বাবু সুদর্শন গাঙ্গুলী বলেছেন, পুলিশের অনুরোধে আমরা সাংবাদিক সম্মেলন স্থগিত করলেও দু’একদিন পরে ঐক্য পরিষদের সাথে আলোচনা করে সাংবাদিক সম্মেলন করে সরকারের কাছে প্রতিকার চাইবো আমার ৮১ শতাংশ জমি জালিয়াতির মাধ্যমে দখলে নেয়ার প্রচেষ্টার সাথে জড়িতদের বিচারের। তিনি আরো ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জালিয়াতি চক্রের হোতা সিদ্দিক মোল্লা ও তার ছেলে বিদ্যুৎ মোল্লার বেপরোয়া আচরণের কারণে পরিবারসহ এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছি। উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের সময় উক্ত সুদর্শন গাঙ্গুলির বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে পাকবাহিনীর নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিলেন ইত্তেফাকের প্রধান হিসাবরক্ষক অনিল কুমার সাহা। এছাড়াও পাকবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বেঁচে যান অভিনেতা তেজেন চক্রবর্তীসহ অনেক জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিবর্গ। এই বাড়ির বড় সন্তান প্রয়াত সুভাষ গাঙ্গুলি স্বাধীনতার পরবর্তীকালে দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান হিসাব রক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন।