নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে সরকারি নিয়মনীতির কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে এবং প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ফসলী জমি থেকে অবৈধভাবে ড্রেজিং বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলার চন্দনধূল গ্রামের মৃত আলেব তালুকদারের ছেলে হানিফ তালুকদারের বিরুদ্ধে। এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে ওই এলাকার অর্ধশতাধিক ফসলী জমি। এমনকি অবৈধ ড্রেজিংয়ের ফলে হুমকির কবলে পড়া কৃষিজমির মালিকদের বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিয়ে বোবা বানিয়ে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের চন্দনধূল গ্রামের জনৈক হাজী মাসুদ সারেংয়ের বাড়ী সংলগ্ন পশ্চিমে দিকে হোতার চক নামক স্থানে অবস্থিত হানিফ তালুকদারের ৯৮ শতাংশের একটি ফসলী জমিতে অবৈধ ড্রেজিং বসিয়ে এক সপ্তাহের অধিক সময় ধরে বালু উত্তোলন করে ওই এলাকার দুই ব্যক্তির কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। সরকারী নিয়মনীতির কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে নির্বিঘ্নে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। ২০-৩০ ফুট গভীর করে ড্রেজিং করে বালু উত্তোলনের ফলে জমিটির চারপাশে প্রায় অর্ধশতাধিক ফসলী জমি ভাঙনের হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী জমির মালিকগণের সাথে আলাপ করে জানা যায়, হোতার চকের কৃষিজমিগুলোতে শুকনো মৌসুমে আলু এবং বর্ষা মৌসুমে ধান আবাদ করা হয়। এখন বর্ষা মৌসুম। এসময় ওই চকের সব জমিতেই বিভিন্ন জাতের ধান আবাদ করা হয়েছে। জমির মালিক হানিফ তালুকদার তার জমিতে ড্রেজার বসিয়ে ২০-৩০ ফুট গভীর করে বালু মাটি উত্তোলন করছে এবং ড্রেজিংয়ের ফলে ধীরে ধীরে গভীরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যাতে করে অল্প কয়েক দিনের মধ্যে ওই জমির পার্শ্ববর্তী জমির মাটি ভাঙন ধরবে। শুকনো মৌসুমে সেসব জমিতে ফসল আবাদ করতে না পারায় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে কৃষিজমির মালিকদের। স্থানীয়রা আরো জানায়, ওই এলাকার মাসুদ রানা নামে (আমেরিকান সিটিজেন) প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় কৃষিজমির ক্ষতি করে দাপটের সাথে ফসলী জমি থেকে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে ড্রেজার মালিক হানিফ তালুকদার। এতে ওই এলাকার অনেক কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও তার ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারছেন না। আগামী ৩-৪ মাস ওই জমির মালিক তার অন্যান্য জমি থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করবে বলে জানান স্থানীয়রা। এ ব্যাপারে জমির মালিক হানিফ তালুকদারের মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশফিকুন নাহার জানান, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। আপনার মাধ্যমেই আমি প্রথম জানতে পেরেছি। খোঁজ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।