সিরাজদিখানে ভাতিজা বৌকে কু-প্রস্তাব ও শ্লীলতাহানি, চাচাশ্বশুরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ভাতিজা বৌকে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানি ও কু-প্রস্তাবের ঘটনায় সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ভাতিজা বৌ সাহিদা বেগম (৪২)। উপজেলার পূর্ব রাজদিয়া গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী তার আপন বড় ভাইয়ের ছেলে ভাতিজা দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রীকে গত কয়েকমাস যাবৎ বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব ও কৌশলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জোরপূর্বক স্পর্শ করে আসছিলো বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, গত ২৭ আগস্ট আনুমানিক সকাল ৯টার দিকে ভাতিজা বৌ সাহিদা বেগম তার বসতঘরের পূর্ব পাশ দিয়ে রাস্তায় যাওয়ার সময় তাকে একা পেয়ে চাচা শ্বশুর তার বাম হাতে পরিহিত ওড়না ধরিয়া টানাটানিসহ শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাহিদা বেগম জানান, গত ২৫ বছর আগে এ বাড়িতে বিয়ে বসে এসেছি। আমার বিয়ের পর থেকেই চাচাশ্বশুর মোহাম্মদ আলীকে আমার জন্মদাতা পিতার মত সম্মান করতাম। তার চরিত্র যে এত খারাপ জানতাম না। আমার তিন মেয়ে এক ছেলে। অনেক কষ্ট করে মেয়ে তিনটাকে বিয়ে দিয়েছি। ছেলেটার বয়স ১৭ বছর। এ বয়সে আমার সংসার ভাঙ্গার জন্য চাচাশ্বশুর মোহাম্মদ আলী আমার বিরুদ্ধে বদনাম রটাচ্ছে। আমি এ লম্পট চাচাশ্বশুরের বিচার চাই। আমি এ লম্পট চাচাশ্বশুরের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। এলাকার গণ্যমান্যদের কাছে বিচার চেয়েছি। যদি এই লম্পটের সঠিক বিচার না হয়, তাহলে আমি নিজেকেই শেষ করে দিবো। লম্পট চাচাশ্বশুর আমার নামে ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নামে পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে। শুধু তাই নয়, আমার তিন মেয়ের সংসারও ভাঙ্গার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত চাচাশ্বশুরের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার ওসি মোঃ ফরিদ উদ্দিন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।