নিজস্ব প্রতিবেদক
সিরাজদিখানে সরকারি রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। নতুন নির্মাণ সামগ্রী তথা নতুন ইটের বদলে ব্যবহার করা হচ্ছে পুরাতন নিম্নমানের ইট। এ নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বেশ কয়েকবার কাজ বন্ধ করে দিলেও থেমে নেই কাজ। কাজটি শুরুর পর থেকে স্থানীয় এলাকাবাসী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগের ঝড় তোলেন। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন নিয়মনীতির কোন প্রকার তোয়াক্কা না করেই অনিয়মের মধ্য দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কাজ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের নাটেশ^র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে দক্ষিণ নাটেশ^র মসজিদ পর্যন্ত ইটের সলিং রাস্তার কাজ চলছে। ২৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে এ কাজটি সম্পন্ন করার জন্য রেজোয়ান ইন্টারন্যাশনালকে দায়িত্ব দেয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস।
স্থানীয় এলাকাবাসী বাদল বেপারী বলেন, আমরা শিডিউল চেয়েছি কিন্তু তারা আমাদের দেখায়নাই। এখানে যে ইটগুলো দিয়ে রাস্তার কাজ করছে সে ইটগুলো সবচেয়ে নিম্নমানের। এর চেয়ে নিম্নমানের ইট হয় না। তাই আমরা এলাকাবাসী কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। আমরা এই ইটের কাজ চাইনা। প্রয়োজনে রাস্তা এমনিভাবে পড়ে থাকুক।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রেজোয়ান ইন্টারন্যাশনাল এর পার্টনার ও জেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম পিন্টু বলেন, ওইটা আমার বন্ধুর কাজ সে হিসেবে কাজটা আমারই। আপনি গিয়ে দেখেন কাটজা শুরুই হয়নি। ইট নেওয়ার কোন রাস্তা নাই। তিনবার করে উঠানো নামানোর কারণে ইটগুলো ভেঙে যায়। ভাঙা ইটসহ কয়েক হাজার ইট ওখানে নেওয়া হয়েছে। তাই বর্তমানে কাজ বন্ধ আছে। আমরা নতুন করে ইট পাঠাবো তারপর নতুন করে ওই কাজ ধরা হবে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের আরেক পার্টনার মোঃ আজহারুল বলেন, আমরা কাজটা পার্টনারে করছি। আমার একটু ভুল হয়েছে। খোলা থেকে যে মাল আনা হয়েছে সে মালগুলো খারাপ দেওয়া হয়েছে। খারাপ মালগুলো সাইড করে নতুন মাল কালকে ঢুকবে। পুরোনো নিম্নমানের ইট ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজটা অনেক খারাপ হয়েছে ভাই। আমি কাল আপনার সাথে কথা বলছি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরমিন সুলতানা জানান, আমি ছুটিতে আছি। আমার কাছে মেসেজ এসেছে। তাৎক্ষণিক সাইট পরিদর্শন হয়েছে। মালামাল সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।