নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে মসজিদের নামে সরকারী বরাদ্দে নির্মিত একটি পাকা ঘাট মায়ের নামে নামকরণকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুক থেকে শুরু করে এলাকার চায়ের দোকান পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনাসহ মুখরোচক মন্তব্য করতে শোনা যাচ্ছে। মসজিদের নামে সরকারী বরাদ্দের ঘাট কিভাবে একজন চেয়ারম্যানের মায়ের নামে নামকরণ করা হয়? এমনটাই প্রশ্ন স্থানীয় এলাকাবাসীসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে উপজেলার কোলা ইউনিয়নের জিবসরা পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের নামে একটি পাকা ঘাট নির্মাণের জন্য উপজেলা উন্নয়ন তহবিল (ইউডিএফ) কর্তৃক ৭ লাখ ৮৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। আর এ কাজটি সম্পন্ন করার দায়িত্ব পায় সাব্বির এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। গেলো কয়েকমাস পূর্বে ঘাটটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। গত শনিবার নবনির্মিত ঘাটটির (জিবসরা বেগম ঘাট) নামে নামকরণ করে মায়ের ঘাট উল্লেখ করে কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মিন্টু ঘাটের ছবিসহ ফেইসবুকে তার ব্যক্তিগত আইডি থেকে একটি পোস্ট করেন। ঘাটটিতে সরকারী বরাদ্দের নেমপ্লেট লাগানোর কথা থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মিন্টু তার মায়ের নামে নেমপ্লেট লাগানোর পায়তারা চালাচ্ছেন। এছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে মসজিদের নামে বরাদ্দের ঘাট নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন না করে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে তিনি তার বাড়ী বরাবর মায়ের পুকুরে স্থাপন করেছেন মর্মে স্থানীয় লোকজন কর্তৃক অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রলীগের এক নেতা বলেন, সরকারী ঘাটলা সে যেভাবে প্রচার করছে দেখে মনে হচ্ছে ঘাটটি তার নিজের টাকায় তৈরি করেছেন। তিনি সরকারী বরাদ্দের টাকায় নির্মিত ঘাটলাটি তার মায়ের নামে নামকরণ করে ফেইসবুকে পোস্ট করে প্রচার করছে। সরকারের টাকায় ঘাট তিনি কিভাবে তার মায়ের নামে প্রচার করে?
স্থানীয়রা জানায়, এর আগে সাইফুল ইসলাম মিন্টু স্থানীয় ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে গ্রামীণ জনপদে স্থাপনের জন্য বরাদ্দকৃত স্ট্রীট লাইট জনসাধারণের চলাচলের রাস্তার পরিবর্তে তার রাজনৈতিক গুরু কোলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম শাজাহান খানের বাড়ীতে নিয়ে স্থাপন করে স্ট্রীট লাইট স্থাপনে অনিয়ম করেন।
অভিযুক্ত কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মিন্টু বলেন, ঘাটের কোন নাম দেওয়া হয়নাই। মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসীর মতামতের ভিত্তিতে কোন স্থানে করলে ভালো হয় সে মোতাবেক পুকুরের মাঝামাঝি ঘাটটি করা হয়েছে। (জিবসরা বেগম ঘাট) নামে নামকরণের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম তানভীর জানান, যে প্রকল্পের কাজ এবং যে নাম কাগজে আছে সে নামে নামকরণ করতে হবে। তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে যদি কোন নির্দেশনা থাকে তবে আলাদা বিষয়। যদি ঘাট অন্য জায়গায় তৈরি হয় তবে তা অনিয়ম হয়েছে। আমি বিষয়টি দেখছি।
সিরাজদিখানে সরকারী বরাদ্দের ঘাট ইউপি চেয়ারম্যানের মায়ের নামে নামকরণের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে মসজিদের নামে সরকারী বরাদ্দে নির্মিত একটি পাকা ঘাট মায়ের নামে নামকরণকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুক থেকে শুরু করে এলাকার চায়ের দোকান পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনাসহ মুখরোচক মন্তব্য করতে শোনা যাচ্ছে। মসজিদের নামে সরকারী বরাদ্দের ঘাট কিভাবে একজন চেয়ারম্যানের মায়ের নামে নামকরণ করা হয়? এমনটাই প্রশ্ন স্থানীয় এলাকাবাসীসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে উপজেলার কোলা ইউনিয়নের জিবসরা পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের নামে একটি পাকা ঘাট নির্মাণের জন্য উপজেলা উন্নয়ন তহবিল (ইউডিএফ) কর্তৃক ৭ লাখ ৮৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। আর এ কাজটি সম্পন্ন করার দায়িত্ব পায় সাব্বির এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। গেলো কয়েকমাস পূর্বে ঘাটটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। গত শনিবার নবনির্মিত ঘাটটির (জিবসরা বেগম ঘাট) নামে নামকরণ করে মায়ের ঘাট উল্লেখ করে কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মিন্টু ঘাটের ছবিসহ ফেইসবুকে তার ব্যক্তিগত আইডি থেকে একটি পোস্ট করেন। ঘাটটিতে সরকারী বরাদ্দের নেমপ্লেট লাগানোর কথা থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মিন্টু তার মায়ের নামে নেমপ্লেট লাগানোর পায়তারা চালাচ্ছেন। এছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে মসজিদের নামে বরাদ্দের ঘাট নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন না করে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে তিনি তার বাড়ী বরাবর মায়ের পুকুরে স্থাপন করেছেন মর্মে স্থানীয় লোকজন কর্তৃক অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রলীগের এক নেতা বলেন, সরকারী ঘাটলা সে যেভাবে প্রচার করছে দেখে মনে হচ্ছে ঘাটটি তার নিজের টাকায় তৈরি করেছেন। তিনি সরকারী বরাদ্দের টাকায় নির্মিত ঘাটলাটি তার মায়ের নামে নামকরণ করে ফেইসবুকে পোস্ট করে প্রচার করছে। সরকারের টাকায় ঘাট তিনি কিভাবে তার মায়ের নামে প্রচার করে?
স্থানীয়রা জানায়, এর আগে সাইফুল ইসলাম মিন্টু স্থানীয় ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে গ্রামীণ জনপদে স্থাপনের জন্য বরাদ্দকৃত স্ট্রীট লাইট জনসাধারণের চলাচলের রাস্তার পরিবর্তে তার রাজনৈতিক গুরু কোলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম শাজাহান খানের বাড়ীতে নিয়ে স্থাপন করে স্ট্রীট লাইট স্থাপনে অনিয়ম করেন।
অভিযুক্ত কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মিন্টু বলেন, ঘাটের কোন নাম দেওয়া হয়নাই। মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসীর মতামতের ভিত্তিতে কোন স্থানে করলে ভালো হয় সে মোতাবেক পুকুরের মাঝামাঝি ঘাটটি করা হয়েছে। (জিবসরা বেগম ঘাট) নামে নামকরণের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম তানভীর জানান, যে প্রকল্পের কাজ এবং যে নাম কাগজে আছে সে নামে নামকরণ করতে হবে। তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে যদি কোন নির্দেশনা থাকে তবে আলাদা বিষয়। যদি ঘাট অন্য জায়গায় তৈরি হয় তবে তা অনিয়ম হয়েছে। আমি বিষয়টি দেখছি।
সিরাজদিখানে সরকারী বরাদ্দের ঘাট ইউপি চেয়ারম্যানের মায়ের নামে নামকরণের অভিযোগ
আগের পোস্ট