নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিঃ (বিআরডিবি আওতাভুক্ত) এর নির্বাচনে তফসিল জালিয়াতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার বিকালে সিরাজদিখান প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিঃ এর সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক সিকদার। এসময় তিনি তার বক্তব্যে বলেন, নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র, জালিয়াতি ও প্রহসন করা হচ্ছে। আগামী ২০ জুন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। অথচ আমরা কোন নোটিশ বা চিঠি কিছুই পাইনাই। এ উপজেলার কোন সমবায়ী জানতে পারেনাই কত তারিখে তফসিল ঘোষণা হয়েছে এবং কোন তারিখে ফরম ক্রয়, জমা, যাচাই-বাছাই বা প্রত্যাহার করা হবে। তিনি আরো জানান, সবকিছু গোপন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা নেওয়ায় আমরা হতাশ। নিয়ম অনুযায়ী কমপক্ষে একমাস আগে তফসিল ঘোষণা করতে হয় এবং একটি জাতীয় ও একটি স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচার করতে হয়। আমিও ১৫ বছর এ সমিতির চেয়ারম্যান ছিলাম। আমি তো কোন নিয়ম বহির্ভূত কাজ করিনাই। আমরা গত বুধবার পল্লী উন্নয়ন অফিসে যাই। সেখানে কর্মকর্তা টিপু সুলতানের সাথে কথা বলি। সে জানায়, এখনো সময় আছে আমরা জানিয়ে দিবো। গত বৃহস্পতিবারও কোন তথ্য দেয়নাই। অফিস টাইম শেষে বোর্ডে নোটিশ টানিয়েছে। এরপর শুক্র ও শনিবার অফিস বন্ধ, আজ (রবিবার) যাওয়ার পর পিয়ন ছাড়া কেউ অফিসে ছিলো না। ফোনে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার সাথে কথা বললে সে জানায় ছুটিতে আছে। এখনো আমরা কোন তথ্য পাইনাই জানিনা তফসিলে কি আছে। যদি ২০ জুন নির্বাচন দেওয়া হয় তবে তা হবে অবৈধ। তাই আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ ও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এ সংবাদ সম্মেলন থেকে দাবী জানাই। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিরাজদিখান কৃষি সমবায় সমিতির সদস্য মো. সাখাওয়াত সিকদার, মোবারক হোসেন, শেখ গোলজার আমিন, সিফাতুল ইসলাম ও তৌহিদ। এ বিষয়ে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা টিপু সুলতান জানান, নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন প্রধান করা হয়েছে উপজেলা সমবায় পরিদর্শক খাইরুল বাশারকে, তিনি আপনাদের বিস্তারিত বলতে পারবেন। আমি ছুটিতে আছি, কাল (সোমবার) আসবো। উপজেলা সমবায় পরিদর্শক খাইরুল বাশার জানান, আমি চিঠি ইস্যু করে দিয়েছি। জানানোর দায়িত্ব উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার। বোর্ডে নোটিশ টাঙানো আমার কাজ না, সেগুলোর দায়িত্বও তার।