নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিরাজদিখান উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ আগামী ২০ মার্চ। এ সম্মেলনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শীর্ষ নেতৃত্বে আসতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের হাইকমান্ডের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন অনেকেই।
পিছিয়ে নেই সিরাজদিখান উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও রাজানগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ্ আলম আছাদ। উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হতে চান তিনি।
সার্বিক বিষয়ে কথা হয় শাহ্ আলম আছাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সৎ যোগ্য নেতৃত্ব এখন সময়ের দাবি। আমি দলে অনুপ্রবেশকারী নই। ছাত্রজীবন থেকে সততার সঙ্গে রাজনীতি করে যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছি। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক এবং কোন অপরাধের সাথেও কোনদিন জড়াইনি। এ কারণেই ২০১৬-২০২১ পর্যন্ত সিরাজদিখান উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি।
নিজের কাছে আপনি যোগ্য প্রার্থী কিনা; এমন প্রশ্নের জবাবে শাহ্ আলম আছাদ বলেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেশবাসী ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের হাইকমান্ড যেমন ব্যক্তিত্ব খুঁজছেন; আমি মনে করি প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমি যোগ্য। স্বাভাবিকভাবে সিরাজদিখান উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হতেই পারি।
সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হলে আপনার পরিকল্পনা কী; জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগকে ঢেলে সাজাতে চাই। প্রকৃত আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীদের প্রাধান্য দিতে চাই। দলকে সুসংগঠিত করতে যা করা প্রয়োজন তার সর্বোচ্চটা করতে চাই। নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই ছাত্ররাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান এমন ব্যক্তি হতে হবে।
শাহ্ আলম আছাদ বলেন, প্রায় ২০ বছরেরও বেশি দীর্ঘায়িত রাজনৈতিক জীবন। একটা দিন একটা মুহুর্তও দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে যাইনি। ১/১১ শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা রেখেছি। নিজের জীবন বাজি রেখে জামায়াত-বিএনপি ও শিবিরের তান্ডবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছি। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ভূমিকা রেখেছি। এখনও দলকে সুসংগঠিত করতে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি।
জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের এক মুসলিম পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন তিনি। পারিবারিকভাবেই আওয়ামী লীগ। রাজানগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে (২০০৫-২০১০) সালে প্রথম রাজনীতিতে পদবী পান। (২০১১-২০১৬) সাল পর্যন্ত রাজানগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। (২০১৬-২০২১) সাল পর্যন্ত সিরাজদিখান উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সালে ২২শে জানুয়ারী জাতীয় নির্বাচনে ভূয়া ভোটার ও নির্বাচন কমিশনার এম.এ আজিজের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ২০০৬ সালে ২রা অক্টোবর লগি-বৈঠা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১/১১ এ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও দেশরত্ন শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে ছাত্রলীগে অংশগ্রহণ করেন। ২৮শে মার্চ ২০২১ হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মীদের দ্বারা নিজের ওপর হামলা ও বাড়িঘর ভাংচুর এবং নির্যাতনের শিকার হন। রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ডে রাখছেন ভূমিকা।
বর্তমানে তিনি তেঘরিয়া যুব সংঘ সাধারণ সম্পাদক, তেঘরিয়া ছনটেক জামে মসজিদের কোষাধ্যক্ষ ও পশ্চিম তেঘরিয়া কবরস্থানের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন নিয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম পিন্টু মুঠোফোনে জানান, সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ প্রাথমিকভাবে ঠিক করা হয়েছে আগামী ২০ মার্চ। সম্মেলন স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোটের মাধ্যমে হবে। তবে সেখানে কোন মাদকসেবী, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে শাস্তি পাওয়া এমন কোন নেতা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।