সুশাসন নিশ্চিত করতে হলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি সাধন অপরিহার্য – অ্যাড. মৃণাল কান্তি দাস এমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
গতকাল রবিবার সকালে মুন্সীগঞ্জ জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা ভার্চ্যুয়ালের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল। সভা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শ্রীমতি শিলু রায়। অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য প্রদান করেন পুলিশ সুপার আবদুল মোমেন পিপিএম, এ্যাড. মৃণাল কান্তি দাস এমপি, পিপি এ্যাড. আবদুল মতিনসহ বিভিন্ন সদস্যগণ।
এ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, একটি কল্যাণকর রাষ্ট্রের পূর্বশর্ত সুশাসন। আর সুশাসন প্রতিষ্ঠা নির্ভর করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উপর। এজন্য সুশাসন নিশ্চিত করতে হলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি সাধন অপরিহার্য।
তিনি বলেন, একটি অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক পরিবেশ পরিস্থিতি কতটুকু জনকল্যাণকর তার অন্যতম প্রধান নির্ণায়ক হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। সেদিক থেকে যদি আমাকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে বলা হয় আমার উত্তর আমাদের জেলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ততটা ভাল নয়। তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হচ্ছে দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন করা। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ বা জেলা প্রশাসন যদি জনগণের নিরাপদ জীবন বিধানে সফলতার পরিচয় দিতে না পারে তাহলে জাতীয় সংসদ সদস্য বা সরকার কি সফল হবে? অতএব আমাদেরকে সম্মিলিতভাবে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। অতি সম্প্রতি চরাঞ্চলে কয়েকটি হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগী, কবুতর, টেলিভিশন ও ফ্রিজ লুটপাট করা হয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে মনে হয়েছে সর্প হইয়া দংশন করো ওঝা হইয়া ঝাড়ো। এই দ্বৈতনীতি পরিহার করতে হবে। যেকোন মূল্যে সর্ষে থেকে ভূত তাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করার পাশাপাশি সম্পদের উত্তরাধিকার হতে বঞ্চিত করার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে। সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে। যেসকল যানবাহন সড়ক পথে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত ও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত করে তা সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক বন্ধ করে দিতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় নদী, খাল, বিল, পুকুর, জলাশয় ভরাটের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে। তিনি অতি সম্প্রতি লঞ্চ দূর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করে আর্থিক ক্ষতি পূরণের দাবী জানান।