নিজস্ব প্রতিবেদক
গত রবিবার ১৪ মার্চ হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ এর নিজস্ব ক্যাম্পাসে হামদর্দ নগর, গজারিয়া, মুন্সীগঞ্জ এ হামদর্দ বিশ^বিদ্যালয় বাংলাদেশ-এর ৯ম বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়। ৯ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আনন্দ র্যালি, আলোচনা সভা এবং কেক কাটার আয়োজন করা হয়। দিনের শুরুতে ক্যাম্পাসে আনন্দ র্যালির মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল খায়ের এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মান্নান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. চৌধুরী মোঃ বাবুল হাসান। এছাড়া আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. এম. লিয়াকত আলি খান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ নুরুল হুদা, ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. আবুল কালাম আজাদ, ইউনানি মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ মোঃ খায়রুল আলম, আয়ুর্বেদিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোঃ বাবুল আক্তার, গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক মুন্সি, সিএসই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ মনোয়ার হোসেন, সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোঃ মোয়াজ্জম হোসেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মান্নান তার বক্তৃতায় প্রথমেই শ্রদ্ধার সাথে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ড. হাকীম মোহাম্মদ ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া এবং হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশ এর অন্যান্য ব্যক্তিবর্গদের স্মরণ করেন। তিনি এই কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে শিক্ষকগণ যেভাবে দক্ষতার সাথে অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেছেন তার জন্য শিক্ষকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এছাড়া তিনি হামদর্দের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেন। পরিশেষে তিনি বলেন, আজকের দিনে আমাদের সবার প্রত্যয় হোক আমাদের মেধা, শ্রম এবং মননশীলতা দিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে বাংলাদেশ এর প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাতা মহোদয়ের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করা।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল খায়ের তার বক্তৃতায় সকলকে শুভেচ্ছা প্রদান করেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সকল শহীদদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি প্রতিষ্ঠা মহোদয়ের মেধা, প্রজ্ঞা এবং দূরদৃষ্টির প্রশংসা করেন। তিনি আশা করেন যে অচিরেই এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশ এর প্রথম সারির দশটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জায়গা করে নিবে। এছাড়া তিনি বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য শিক্ষকগণ উৎসাহ প্রদান করবেন। পরিশেষে তিনি সকলের মঙ্গল কামনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমৃিদ্ধ কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে আলোচনা সভাটি সমাপ্ত হয়।