৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির গৌরব, মর্যাদা, বিজয়, বিসর্জন, আত্মত্যাগ, সংগ্রাম ও বীরত্বের আখড়ে লেখা এক মহাকাব্য – অ্যাড. মৃণাল কান্তি দাস এমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম আর সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আত্মত্যাগের রক্তাক্ষরে রচিত হয়েছে বাঙালি জাতির বীরত্বের ইতিহাসÑ মুক্তির ইতিহাসÑ স্বাধীনতার ইতিহাস। এই মহাকাব্যের চির-উজ্জ্বল ধ্রুবতারা হলেন প্রত্যেকটি বীর মুক্তিযোদ্ধা।
গতকাল বুধবার গজারিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এক সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী। অন্যান্যদের মাঝে বক্তৃতা করেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নেকী খোকন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বীরপ্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা সেকেন্দার আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা তানেশ উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার মোক্তার হোসেন, গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ মহাসীন প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, বাঙালি ও বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কালজয়ী নাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টুঙ্গিপাড়ার চিরায়ত গ্রামীণ সমাজের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না আবেগ-অনুভূতি শিশুকাল থেকে গভীরভাবে প্রত্যক্ষ করেছেন। গ্রামের মাটি আর মানুষ তাঁকে প্রবলভাবে আকর্ষণ করতো। শৈশব থেকে তৎকালীন সমাজ জীবনে তিনি জমিদার, তালুকদার ও মহাজনদের অত্যাচার, শোষণ ও প্রজাপীড়ন দেখে চরমভাবে ব্যাথিত হতেন। কিশোর বয়সেই তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশি-বিদেশি বহুমাত্রিক ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস, বাঁধা-বিপত্তিকে দৃঢ়তার সাথে মোকাবেলা করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে নিরীহ বাঙালি হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিন্ন করে বাঙালি জাতি পেয়েছিল স্বাধীনতার স্বপ্ন-সাধ। তার আহ্বানে নিরস্ত্র বাঙালি সশস্ত্র হয়ে পাক হানাদার বাহিনীর শেষ শত্রু সেনাটিকেও এই ভূখন্ড থেকে বিতাড়িত করেছে। ত্রিশ লক্ষ বাঙালি আত্মাহুতি দিয়েছে। ২ লক্ষ মা-বোন তাদের সম্ভ্রম হারিয়েছে। বিশ্ব মানচিত্রে প্রতিষ্ঠা করেছে বাংলাদেশ ।