মুন্সীগঞ্জে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক
নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার যশলদিয়ায় অজ্ঞাত রোগে আব্দুর রহমান (৩) ও শামীমা আক্তার (৩২) নামের চাচী ও ভাতিজার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে নিহতরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান পাটোয়ারী। এদিকে এ ঘটনার তদন্তে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে মেডিসিন ও শিশু বিশেষজ্ঞসহ ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার তদন্ত কমিটি ঘটনার অনুসন্ধানে কাজ শুরু করবে জেলা সিভিল সার্জন নিশ্চিত করেছে।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে জানা গেছে, রবিবার দিবাগত রাত ২টায় উপজেলার যশলদিয়া এলাকায় মীর সোহেলের শিশু পুত্র আব্দুর রহমান মারা যায়, এর আগে একইদিন সকাল ৮টায় মীর জুয়েলের স্ত্রী শামীমা আক্তার মারা যায়। নিহত ২জন সম্পর্কে চাচী-ভাতিজা। মৃত্যুর কারন এখনো সঠিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি, উভয়ের শরীরে ছোপ ছোপ দাগ দেখা গেছে।
নিহত শামীমার স্বামী মীর জুয়েল জানান, গত রবিবার সকালে হঠাৎ শামীমার শরীরে ব্যথা অনুভব করলে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসককে জানাই, পল্লী চিকিৎসক এসে জ¦র হয়েছে বলে নিশ্চিত করে ঔষধ দিয়ে যায়। পরে তার হাত পায়ের আঙুল বাঁকা হতে শুরু করে ও দাঁত লেগে যায় একপর্যায়ে সকাল ৮টায় মারা যায় শামীমা। একইদিন রাতে ভাতিজা আব্দুর রহমানেরও একইভাবে মৃত্যু হয়। একইরকমভাবে ২জনের মৃত্যুতে পরিবারের বাকি সদস্যদের নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান পাটোয়ারী জানান, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহত রহমানের ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে, নিহতের লক্ষণ দেখে করোনা ভাইরাস নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিশেষ টিমের পরীক্ষা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে।
জেলা সিভিল সার্জন মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, ঘটনা শুনার পর ঘটনাস্থলে টিম পাঠানো হয়েছে, প্রাথমিক লক্ষণে করোনা ভাইরাসের সনাক্ত হয়নি। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, মঙ্গলবার টিম কাজ শুরু করবে।
যশলদিয়ায় চীনসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের উপস্থিতি রয়েছে বিষয়ে সিভিল সার্জন বলেন, চীনে যে প্রদেশে করোনা সংক্রামক ছড়িয়েছে সে প্রদেশ থেকে কাউকে বের হওয়া বা প্রবেশ করানো হচ্ছে না। বাংলাদেশ বিমানবন্দরে আসা চীনের সমস্ত ফ্লাইটের যাত্রীদের স্ক্যান করা হচ্ছে, সংক্রামিত কাউকে ফ্লাইটে নেওয়া হচ্ছে না। তাই চীনের নাগরিকদের দ্বারা বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ নেই।
ভুক্তভোগীরা স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের মাধ্যমে ঔষধ খেয়েছিলো তা থেকে কোন প্রতিক্রিয়া হয়েছে কিনা তাও যাচাই করার প্রয়োজন আছে।