নিজস্ব প্রতিবেদক
গাজীপুরে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি ও পুলিশ কনস্টেবল মো. জিল্লুর রহমানের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাদের দেখতে যান আইজিপি। এসময় দগ্ধ রনি ও জিল্লুরের চিকিৎসা এবং বর্তমান অবস্থার খোঁজ নেন তিনি। এরপর কিছুক্ষণ তাদের পাশে অবস্থান করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেনসহ অন্য চিকিৎসকরা।
পরে পুলিশপ্রধান সাংবাদিকদের জানান, গাজীপুরে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণের ঘটনা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে সর্বাত্মক সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। দগ্ধদের চিকিৎসায় সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান আইজিপি।
ডা. সামন্ত লাল জানান, দগ্ধ রনি ও জিল্লুরের শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। তবে তারা এখনো আশঙ্কামুক্ত নয়।
গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গাজীপুরে জেলা পুলিশ লাইনস মাঠে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান ও নাগরিক সম্মেলনে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনিসহ পাঁচজন। দগ্ধ অন্যরা হলেন- কনস্টেলব জিল্লুর রহমান, মোশাররফ হোসেন, ইমরান হোসেন ও রুবেল হোসেন। ওইদিনই অভিনেতা রনি ও কনস্টেবল জিল্লুর রহমানকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা বার্ন ইউনিটের হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন।
গতকাল রোববার দুপুরে তাদের চিকিৎসায় গঠিত ১৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের সভা শেষে ডা. সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের জানান, অভিনেতা আবু হেনা রনির অবস্থা এখনো শঙ্কামুক্ত নয়। তার শরীর ১৫ শতাংশের বেশি দগ্ধ হয়েছে। তবে এখন কিছুটা ভালো তিনি। জিল্লুর রহমানকেও শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না।
এদিকে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে শনিবার জিএমপির ডিসি (অপরাধ-উত্তর) আবু তোরাব মোহাম্মদ শামসুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অভিনেতা রনি ও কনস্টেবল জিল্লুরের পাশে আইজিপি
আগের পোস্ট