নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনাদর্শ ও তার সৃষ্টিকর্ম শোষণ-বঞ্চনামুক্ত অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় চিরদিন বাঙালি জাতিকে অনুপ্রাণিত করবে।
গতকাল সোমবার বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শ্রী শিশু রায়-এর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন মঞ্জুরুল আলম, হরগঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ শ্রী সুভাষ চন্দ্র হীরা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াছিন ফেরদৌস, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ হাজী ফয়সাল আহমেদ বিপ্লব প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, বাঙালির অস্তিত্ব জুড়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলা, বাঙালি এবং রবীন্দ্রনাথ এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলা সাহিত্য ও বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ, উৎকর্ষে রবীন্দ্রনাথের প্রভাব ও অবদান অসামান্য। তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী সাহিত্যের এক বিস্ময়কর স্রষ্টা। একাধারে তিনি ছিলেন কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক। রবীন্দ্র সাহিত্যের বিশালতা ও গভীরতায় বাঙালি জাতি ঋদ্ধ হয়েছে। কালজয়ী এই কবি জীবন ও জগতকে দেখেছেন অত্যন্ত গভীরভাবে, যা তার কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক, গীতিনাট্য, প্রবন্ধ ও ভ্রমণ কাহিনী, সঙ্গীত ও চিত্রকলায় উৎসারিত হয়েছে।
তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ আমাদের শক্তির উৎস হয়ে ওঠেন মহান মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে, মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল সময়ে ও পরে। রবীন্দ্রনাথ আমাদের অনুভবে, চেতনায় এবং আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে যান। বাঙালির আত্মশক্তি ও আত্মমুক্তির বাণী রবীন্দ্রনাথের লেখায় ফুটে ওঠে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় রবীন্দ্রনাথের গান আমাদের সেই আত্মশক্তিকে জাগ্রত করেছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনাদর্শ ও তার সৃষ্টিকর্ম শোষণ-বঞ্চনামুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে চিরদিন বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করবে। বাঙালির অস্তিত্ব ও চেতনার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ মিশে আছেন ওতপ্রোতভাবে। তিনি সকল মানুষের কথা এবং সামগ্রিক সাম্যের বাণী প্রচার করতে চেয়েছেন। বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক মানবতাবাদী সংস্কৃতির ক্ষেত্র বিকাশে নিরলস চেষ্টা করেছেন, তাদের বাতিঘর ছিলেন রবীন্দ্রনাথ।