নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারির মধ্যেও থেমে নেই সাধারন মানুষের কেনাকাটা। দোকানের সাঁটার নামানো থাকলেও টোকা দেওয়ার সাথে সাথে খুলে দেওয়া হয় সাঁটার। সদর উপজেলার রিকাবীবাজার হাট বাজারগুলোতে বেড়েই চলছে ক্রেতাদের ভিড়। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে গাদাগাদি করে গায়ে গা ঘেঁষে কেনাকাটা করছে ক্রেতারা। দোকানদার এবং ক্রেতারা দোকান খোলা এবং পণ্য কেনার নানা অজুহাত দেখায়। দোকানিরা অনেকেই বলছে দোকান পরিষ্কার করার জন্য খুলেছি। কেউবা বলছে সবাই খুলেছে তাই খুলছি। আবার কেউ কেউ বলছে পেটের দায়ে খুলেছি। এভাবে গাদাগাদি করে দোকান খোলা রেখে বেচাকেনা করলে সংক্রমণ ছড়াতে পারে এটা তারা বুঝতেই চাচ্ছে না।
স্থানীয় সুশীল সমাজ মনে করছেন অসচেতন মানুষগুলোকে সচেতন করতে হলে প্রশাসনকে আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। দোকানীরা কিছুতেই করোনা বিষয়ে সরকারের সতর্কতামূলক স্বাস্থ্যবিধিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। ফলে বাজারগুলোতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পুলিশের গাড়ি বা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসছে শোনামাত্র দোকানের গেট বন্ধ করা হয়। কিছু সময় পরে পুলিশের গাড়ি চলে যাওয়া বা মোবাইল কোর্ট স্থান ত্যাগ করা মাত্র আবার দোকানের সাঁটার অর্ধেক খোলা হয়।
এই বিষয় সদরের উপজেলার মীরকাদিমের রিকাবী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ কামাল হোসাইন বলেন, সকালে দোকান দু’চারজনে খুললে তাদের দেখাদেখি আর একজনে খুলে, আমি ওদেরকে না করি। সবাই তো এলাকার মানুষ, সবাইকে বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।