নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন গত বৃহস্পতিবার ব্যাংককের বামুনগ্রাড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি …….. রাজিউন)। এর আগে তিনি গত ২ জুন বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে প্রথমে ঢাকার গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বামুনগ্রাড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আওয়ামী লীগের এই বিশ্বস্ত ত্যাগী নেত্রীর মৃত্যুতে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করে মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেন। তিনি ১লা মার্চ ১৯৪৩ সালে ঢাকার কুর্মিটোলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা-মাতা হলেন যথাক্রমে আব্দুল আজিজ ও টুরজান নেসা। তিনি বি.এ এবং এল.এল. বি ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক মহিলা আইনজীবী সমিতি ও আন্তর্জাতিক মহিলা জোটের সদস্য। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান সংগ্রামী নেত্রী সাবেক মন্ত্রী অ্যাড. সাহারা খাতুন এর মৃত্যুতে মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জেলা পরিষদ সদস্য, বঙ্গবন্ধুর চীফ সিকিউরিটি অফিসার আলহাজ্ব মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অত্যন্ত কাছের এবং প্রিয়ভাজন সহকর্মী ছিলেন অ্যাড. সাহারা খাতুন এমপি। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি অনুপ্রাণিত থেকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে রাজনীতি করতেন। তার মৃত্যুতে আমি মর্মাহত, ব্যথিত। আমি মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আরও শোক প্রকাশ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব শেখ মোঃ লুৎফর রহমান, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক অ্যাড সোহানা তাহমিনা, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল উদ্দিন আহাম্মেদ।