নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের তেঘরিয়া যুব সংঘের সভাপতি ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ আগলা প্রগতি সংঘের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সিরাজদিখান প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে তেঘরিয়া যুব সংঘের সভাপতি শেখ শহিদুল্লাহ সোহেল তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আগলা প্রগতি সংঘের আয়োজনে কবি কায়কোবাদ স্মৃতি ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। ২৭ জানুয়ারি নক আউট পদ্ধতির প্রথম রাউন্ডের খেলায় আগলা কায়কোবাদ মাঠে তেঘরিয়া যুব সংঘ, মিরপুর পল্লবীকে হারিয়ে সেমি ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়। ২৮ জানুয়ারি তাদের জানানো হয়, ৩০ জানুয়ারি সেমি ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। তখন তেঘরিয়া যুব সংঘের সভাপতি খেলাটি পিছিয়ে দেওয়ার দাবী জানান। ৫ দিন আগে জানানোর কথা থাকলেও ২ দিন আগে জানায় তারা। তাতে করে তেঘরিয়ার খেলোয়ার আসতে পারেনি। আগলা প্রগতি সংঘের প্রতারণার জন্য এ কাজ হয়েছে। শুধু তাই নয় সেমি ফাইনাল খেলায় আমাদের ক্লাবের নাম ব্যবহার করে অন্য ২ জন খেলোয়ারদের দিয়ে খেলা পরিচালনা করে। এতে আমাদের সম্মানহানি ঘটে। আমরা নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। প্রয়োজনে আমরা আইনের মাধ্যমে দেখবো। তবে তাদের এই প্রতারণার প্রতিবাদ এর জন্য আজকের এই সংবাদ সম্মেলন করছি।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ আগলা যুব সংঘের ক্রীড়া সম্পাদক খালেদ আল মামুন জানান, আমরা তাদেরকে ট্রাইসিট দিয়েছি সেখানে সকল নিয়মাবলীসহ উল্লেখ আছে, কমিটির সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। তবুও আমরা সেমি ফাইনালে তাদের ও প্রতিদ্বন্দ্বী দল কদমতলীর সাথে আলোচনা করেছি। তারিখ পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া অতিথিদের দেওয়া সময়ও পরিবর্তন করা যায়নি। তাদেরকে বলেছি আগের খোলোয়াররা না আসলে অন্য খেলোয়ার নিয়ে আসতে, তারা না আশায় ওয়াকওভার পেয়েছে উপস্থিত দল। অতিথি ও দর্শকদের সম্মানে প্রীতি ম্যাচ খেলা হয়েছে। তবে তাদের নাম ও কদমতলীর নামেই খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম সালাউদ্দিন মঞ্জু বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তেঘরিয়া সংঘের তারা এসেছিলো। আমি তাদেরকে লিখিতভাবে জানাতে বলেছি। তারা লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।