নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে আজ বুধবার থেকে ফের ভার্চ্যুয়ালি চলবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম। এজন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের পৃথক পৃথক জুম আইডিও প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নির্দেশনায় গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভার্চ্যুয়ালি আদালত পরিচালনার বিষয়ে পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর সই করা দুটি বিজ্ঞপ্তিতেই বলা হয়, সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বুধবার ১৯ জানুয়ারি থেকে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আপিল বিভাগ ও সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সকল বেঞ্চের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এর আগে মঙ্গলবার সকালে আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হলে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, হাইকোর্ট বিভাগের ১৩ বিচারপতি করোনায় আক্রান্ত। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের অনেক স্টাফ। সেইসঙ্গে নিম্ন আদালতের অনেক বিচারকও করোনায় আক্রান্ত, এমন অবস্থায় কোর্ট চালানো কঠিন হয়ে পড়বে। তিনি আরও বলেন, চারদিকে করোনা সংক্রমণের যে অবস্থা, তাতে মনে হচ্ছে আবারও ভার্চ্যুয়াল আদালত পরিচালনায় যেতে হবে। ভার্চ্যুয়ালি মামলা যে কম নিষ্পত্তি হয় তা কিন্তু নয়, ভার্চ্যুয়ালি বেশিই নিষ্পত্তি হয়। নতুন বছরের শুরু থেকেই ধীরে ধীরে দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। বিশেষত এক সপ্তাহে সংক্রমণ বাড়ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে ১১ দফা বিধিনিষেধ কার্যকর করছে সরকার। ২০২০ সালের ১১ মে থেকে প্রথমবারের মতো সীমিত পরিসরে চালু হয় ভার্চ্যুয়াল আদালত। করোনা ধাক্কায় দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হলে ২০২০ সালের ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে “আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ- ২০২০” এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। এরপরে গত ৯ মে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিকে সশরীরে উপস্থিতি হিসেবে গণ্য করে অধ্যাদেশটি জারি করেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। এর একদিন পর ১০ মে ভার্চ্যুয়াল আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
আজ থেকে ভার্চ্যুয়ালি চলবে সুপ্রিম কোর্ট
আগের পোস্ট