নিজেস্ব প্রতিবেদক॥ আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আজ বুধবার পদ্মা সেতুর ১৯তম স্প্যান “৪-সি” বসানো হবে । সেতুর পিয়ার-২০ ও ২১ এর উপর স্থাপন করা হবে ১৯তম স্প্যান। এতে দৃশ্যমান হতে চলেছে সেতুর ২৮শ ৫০ মিটার । পদ্মা সেতুর প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ন কবির এতথ্য নিশ্চিত করেছে।
তিনি জানান ১৯তম স্প্যানটি সেতুর একেবারে মাঝের স্প্যান, স্প্যানটি মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে রাখা আছে, সকালে ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ভাসমান ক্রেন ‘তিয়ান-ই’ এর মাধ্যমে ধূসর রংয়ের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যে ও ৩ হাজার ১৪০ টন স্প্যানটিকে বহন করে পিয়ারের উপর বসানোর কার্যক্রম শুরু হবে। অনুকূল আবহাওয়া ও কারিগরি বিষয় ঠিক থাকলে পিয়ারের উপর স্প্যানটি বসাতে সময় লাগবে বেশ কয়েক ঘন্টা ।
এদিকে প্রকৌশলী সূত্রে জানাযায়, পদ্মাসেতুর মোট ৪২টি পিলারের মধ্যে বর্তমানে কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৩৫টির। সেতুর ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ইতি মধ্যে ৪১০টি রেল স্ল্যাব বসানো হয়েছে। ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ১২৫টি স্ল্যাব বসানো সম্পন্ন হয়েছে। পদ্মাসেতুর মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে চীন থেকে মাওয়ায় এসেছে ৩৩টি স্প্যান।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয়েছে ১৮টি স্প্যান। প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে সবকটি পিলার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুই প্রান্তে টোল প্লাজা, সংযোগ সড়ক, অবকাঠামো নির্মাণ করছে দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে।