নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জে আত্মহত্যার প্ররোচণার অপরাধে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মধ্য মাকাহাটি গ্রামে শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বিষপানে গৃহবধূ শান্তা আত্মহত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা দুলাল মাদবর বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় আত্মহত্যার প্ররোচণার অপরাধে স্বামী মোহসীন মোল্লা, দেবর আব্দুল মোল্লা, ননদ ফাতেমা বেগম, শিল্পী বেগম ও শাশুড়ি মাসু বেগমকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউপির মধ্য মাকাহাটি গ্রামের মৃত জালাল মোল্লার ছেলে মোহাসীন মোল্লার সাথে গত ২ বছর পূর্বে সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের রামের গাঁও গ্রামের দুলাল মাদবরের মেয়ে শান্তা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে এক পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করলেও প্রায় সময় যৌতুকের দাবিতে চলত শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচার। প্রায়ই স্বামী-শাশুড়িসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন শান্তার ওপর শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার যৌতুকের দাবীতে শান্তার ওপর স্বামী-শাশুড়িসহ অন্যরা নির্যাতন করে নানা অপবাদ দেয়। এসব অপবাদ সইতে না পেরে ক্ষোভে-দুঃখে সকাল ৭টার দিকে নির্যাতিত ওই গৃহবধূ শান্তা আক্তার রান্নাঘরে গিয়ে বিষ পান করে। তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতাল নিয়ে গেলে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়। তারা ঢাকা মেডিকেলে না নিয়ে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করে। সেইদিনই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল ৪টায় মৃত্যুবরণ করে। এ ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আনিচুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আসামিদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চালাচ্ছি। এদিকে এ আত্মহত্যার প্ররোচণার সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি করেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। এদিকে শান্তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে দেখা যায়, বাড়িঘর তালা দিয়ে অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছে।
আত্মহত্যার প্ররোচণার অপরাধে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা
আগের পোস্ট