নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে আধিপত্য বিস্তার ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে হাজী ছামাদ আলী ও তার ভাতিজা মোঃ মোক্তার হোসেন। তারা উপজেলার আকবরনগর এলাকার বাসিন্দা। আকবরনগর এলাকা ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলা, নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা উপজেলা ও মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার অন্তর্ভুক্ত। হাজী ছামাদ আলী ফতুল্লা উপজেলা, মোক্তার হোসেন সিরাজদিখান উপজেলার বাসিন্দা। তারা কিছুদিন আগেও দু’জন দুই গ্রুপে থেকে টেঁটা বল্লমযুদ্ধে লিপ্ত ছিলো। তার জেরে জীবন দিতে হয়েছে জয়নাল মন্ডল নামের এক ব্যবসায়ীকে। বর্তমানে এই দুইজন এক হয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার চালাচ্ছে বলে এলাকার একাধিক লোকে জানিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সিরাজদিখান থানাধীন আকবরনগর গ্রামের ধলেশরী নদীর উত্তর তীরে অবস্থিত একতা ব্রিক ফিল্ডটি মোঃ মোক্তার হোসেনের চাচা হাজী মমতাজউদ্দীন এর কাছ হতে জবরদস্তি দখল করে নেয় ভাতিজা মোঃ মোক্তার হোসেন। পরে এলাকার প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর হাজী মমতাজউদ্দিন সালিশের মাধ্যমে মোঃ মোক্তার হোসেনের নিকট হতে মাটি বিক্রয় বাবদ ৪৫ লক্ষ টাকা পাওনা হয়। সালিশে ব্রিকফিল্ডের ৫ লক্ষ ইট ও বাকী নগদ টাকা দিবে বলে বিষয়টি সুরাহা করা হয়। হাজী মমতাজউদ্দীন সালিশের সুরাহা অনুযায়ী ব্রিকফিল্ড হতে ইট নিতে গেলে মোঃ মোক্তার হোসেন দলবল নিয়ে ইট বোঝাই গাড়ি আটক করে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ইট বোঝাই গাড়ি সিরাজদিখান থানায় নিয়ে যায়। এলাকাবাসী আরো জানায়, মোঃ মোক্তার হোসেন ও হাজী ছামাদ আলী ঐ এলাকার ইট ভাটা থেকে সাপ্তাহিক চাঁদা ও জবরদখলের জন্যই আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার (সেকেন্ড অফিসার) এসআই জুবায়ের আলম মৃধা জানান, জেলা পুলিশ সুপার স্যার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে যার তদন্ত ভার আমার উপর। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।