নিজস্ব প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথ চলায় এখন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষরাও ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। এর থেকে পিছিয়ে নেই গৃহপরিচারিকারা ও। সে কথা জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। এ নিয়ে উচ্ছাসিত। তিনি বলেন, ‘আমার কাজের মেয়েও মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে। আমি বলি ওরে বাপরে বাপ…; আমরা কোথায় গেলাম?’
বুধবার রাতে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি রবির নতুন প্রযুক্তি ‘ভোল্টি’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ করবেন। কিন্তু সে সময় অনেকের স্বচ্ছ ধারণা ছিল না। আগামী ৫ ও ১০ বছর পরে আমরা কোথায় যাবো আমাদের সে পরিকল্পনাও প্রধানমন্ত্রী করে যাচ্ছেন।’
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথ চলায় এখন ‘বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ মোবাইল ব্যবহার করে’ বলে জানান মন্ত্রী। আর ‘ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৯ কোটি মানুষ’, উল্লেখ করেন তিনি।
ভোল্টি প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘রবি এই ভোল্টির প্রবর্তন অবশ্যই অবিস্মরণীয়। কল ড্রপ থেকে ফাইভ জি সমাধান দেবে মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এখন গৃহিনী যদি হাঁস আনতে বলে, তাহলে স্বামী আর বাঁশ আনবে না। এটা ভোল্টির কারণে সম্ভব হবে। আমরা ভোল্টি প্রযুক্তিতে পদার্পণ করলাম সেজন্য সত্যিই গর্ববোধ করছি। আমাদের নতুন প্রজন্ম তো বটেই, যে টেকনোলজিতে আমরা ধীরে ধীরে যাচ্ছি সম্ভাবনা ময় বাংলাদেশ তো আমরা এমনি এমনিই হয়নি।’
‘আমরা সবদিকে কাজ করছি বলেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। প্রযুক্তিতেও উন্নতি হওয়ায় আজ এই অবস্থায় এসেছি। আজ সারাবিশ্বের বিস্ময়ে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ।’ প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সঙ্গে সঙ্গে অপরাধীরাও তার থেকে সুবিধা নিচ্ছে। এ বিষয়ে সরকার নজর রাখছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ক্রিমিনালদের কথা বলি- যতই টেকনোলজির উৎকর্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ততই তাদের বুদ্ধিও বেড়ে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে লড়তে আমরাও প্রযুক্তিতে উন্নতি করছি। আমাদের পুলিশ বাহিনীসহ সব বাহিনী প্রযুক্তিতে জ্ঞান লাভ করেছে এবং সেদিকে আমরা খেয়ালও রাখছি। আমরা পুলিশকে ৯৯৯ উপহার দিয়েছি।
আমার কাজের মেয়েও ইন্টারনেট ব্যবহার করে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আগের পোস্ট