নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কনকসারে মাদক সন্ত্রাস ও বাল্যবিবাহ বিরোধী সমাবেশে গত শুক্রবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি তো নদীর এমপি না, তাই আমার কথা কেউ শোনে না।
তিনি আরো বলেন, নৌ মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কেউ কোন ভূমিকা পালন করছে না। আমি তাদেরকে বারবার ফোন করে কোন সহযোগিতা পাচ্ছি না। একমাত্র লৌহজং উপজেলা প্রশাসনের যথেষ্ট সহযোগিতা পাচ্ছি এবং তারা আমার কথা শুনে কাজ করছে। তারা এ পর্যন্ত দুই কোটি টাকার উপরে জরিমানা আদায় করেছে। আমি পদ্মা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে অসময়ে ভাঙনের কারণ চিহ্নিত করে নদীতে সরাসরি অভিযান এবং এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে নদীতে নৌ-র্যালি করেছি। সরকারী বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করে যাচ্ছি।
এছাড়া তিনি উপস্থিত সকলকে বলেন, পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে রাতের আঁধারে বালু উত্তোলন ও বড় আকারে বাল্কহেড চলাচল নদী ভাঙনের প্রধান কারণ। লৌহজংবাসীর ভিটেমাটি রক্ষার আন্দোলনে সর্বদা আমি পাশে আছি। লৌহজংয়ের মানচিত্র রক্ষার লড়াই সকলে মিলে করতে হবে। আপনারা সবাই মিলে বালু কাটার বিরুদ্ধে সরাসরি নদীতে অভিযানে যাবেন। তবে খালি হাতে নয়, বালুখোরদের মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিয়ে যাবেন। আমার ও প্রশাসনের সহযোগিতা লাগলে আমাকে জানাবেন। এসময় তিনি উপস্থিত লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল আউয়াল ও লৌহজং থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীরকে অবৈধভাবে বালু কাটার ও বাল্কহেডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে আইনগত সাহায্য দেওয়ার অনুরোধ করেন।