নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, ছাত্রলীগের ইতিহাস- বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল আন্দোলনে ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের অপরিসীম ত্যাগ ও আত্মনিবেদন রয়েছে। ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে ছাত্রলীগকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের দক্ষ কারিগর হয়ে উঠতে হবে। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হয়ে বিশ^মানের নাগরিক হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতবৃন্দের উদ্যোগে আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- জেলা কৃষকলীগের সভাপতি মহাসীন মাখন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা তপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান রিপন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মনিরুজ্জামান শরীফ, আবু সাঈদ বিন্দু, জেলা পরিষদ সদস্য আরিফুর রহমান আরিফ, গোলাম রসুল সিরাজী রোমান, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম পলাশ, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আইএইচ শান্ত নূর, মাকসুদ হোসেন, মিমন দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান সিজু, ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক হাসিব মোঃ রাফিউ, মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শিপু হালদার, সদস্য শাওন ঢালী, হরগঙ্গা কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোঃ রাব্বী, পৌর ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক তমাল ঘোষ প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এই উপ-মহাদেশের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ও বৃহৎ ছাত্র সংগঠন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণের ইতিহাসে ছাত্রলীগের যে গৌরবোজ্জ্বল অবদান রয়েছে বিশে^ আর কোনো ছাত্র সংগঠনের এমন বীরত্বগাঁথা অর্জন খুঁজে পাওয়া যাবে না। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য, স্বাধীনতার জন্য যে অপরিসীম ত্যাগ স্বীকার ও আত্মদান দিয়েছেন ইতিহাসের পাতায় তা চিরভাস্মর হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগের পতাকাতলে অসংখ্য দেশহিতৈষী বীরযোদ্ধাদের জন্ম হয়েছে। ছাত্রলীগের মহান আদর্শকে ধারণ করে এদেশের অসংখ্য ছাত্র-যুবক-তরুণ দেশমাতৃকার কল্যাণে নিজেদের বিলিয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তি ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাসের পরতে পরতে রয়েছে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের রক্তের আখরে লেখা অজস্র দৃষ্টান্ত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সময়ের সাথে সাথে আধুনিক-উন্নত ও সমৃদ্ধ মানসিকতাকে ধারণ করে সর্বদা অগ্রগতি ও প্রগতির পথে এগিয়ে চলা মিছিলের নাম। ছাত্রলীগে একদিকে যেমন রাজপথের নিবেদিত প্রাণ কর্মীবাহিনী উপহার দিয়েছে, অন্যদিকে দেশ বিনির্মাণের কারিগর অসংখ্য মেধাবী সম্পদকে উপহার দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রায় দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে ছাত্রলীগকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের দক্ষ কারিগর হয়ে উঠতে হবে।