নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার আমরা বা আমাদের মতো ঢাকার পাশের জেলার মানুষদের জন্য ঈদে বাড়ি ফেরা এবং ছুটি শেষে কর্মব্যস্ত শহরে ফিরে আসা অনেকটা রুটিন ওয়ার্কের মতোই মনে হয়। পার্থক্যটা তখনই বুঝতে পারি যখন দেখি বাস ভাড়া বেশি নিচ্ছে, ৮০/১১০ (এসি বাস) টাকার ভাড়া ২০০ টাকা হয়ে যায়। প্রতি ঈদেই অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে এবং ফিরতে হচ্ছে। গতকাল শনিবার সকালে ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডে বিআরটিসি বাস কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখি ১১০ টাকার ভাড়া ১৫০ টাকা, তা-ও সিট খালি নাই দাঁড়িয়ে যেতে হবে। ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার পথে একই বাসে ১১০ টাকার ভাড়া ২০০ টাকা দিয়ে যেতে হয়েছিলো। যথারীতি তখনও সিট খালি না থাকায় দাঁড়িয়ে যেতে হয়েছে। ভাড়া আদায়ে মনিটরিংয়ের অভাবেই এই নৈরাজ্য করার সুযোগ পাচ্ছে বাস মালিক সমিতি। বিআরটিসি ঈদ স্পেশাল সার্ভিস লিখে নতুন টিকেট ছাপিয়ে নিয়েছে যাতে কোন ভাড়া বা টাকা উল্লেখ নাই। তাদের ইচ্ছেমতো ভাড়া নিচ্ছে কখনো ২০০ টাকা কখনো ১৫০ টাকা। গজারিয়া উপজেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ড, ভাটেরচর, ভবেরচর এবং বাউশিয়া এই পথে চাঁদপুরের মতলব, কুমিল্লার মেঘনা ও হোমনা উপজেলার যাত্রীরাও যাতায়াত করে। ঈদের আগে এবং পরে যদি উপজেলা প্রশাসন বাসস্ট্যান্ডগুলোতে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করে তাহলে সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও উপকৃত হবে।