নিজস্ব প্রতিবেদক
বিগত কয়েকদিন ধরেই মুন্সীগঞ্জে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। গতকাল রবিবার জেলার ভাগ্যকূল পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। যা বিগত কয়েকদিনের মধ্যে অনেকটাই কম। তবে বন্যার পানিতে এ পর্যন্ত জেলার ৪৪টি ইউনিয়নে ৩১৯টি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। সরকারি হিসাবে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এসব এলাকার ৪২ হাজার ৫৮৩টি পরিবার। এদের মধ্যে ৩৪৩টি পরিবার ৪৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে। ভেসে গেছে জেলার ১৭শ ২টি পুকুরের মাছ। এতে মাছচাষীদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৯ কোটি টাকা। এদিকে বন্যায় অনেক এলাকায় সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস জানিয়েছে, জেলায় বন্যা কবলিতদের জন্য এ পর্যন্ত সরকারি বরাদ্দের ৫৩৭ মেট্রিকটন চাল ও ৫ হাজার ৫শ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও জিআর ক্যাশ হিসাবে ৫ লক্ষ, গোখাদ্যের জন্য ১১ লক্ষ ও শিশু খাদ্যের জন্য ৫ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বিগত কয়েকদিন যাবতই পানি কমতে শুরু করেছে। এভাবে চলতে থাকলে বন্যা পরিস্থিতি দ্রুত কেটে যাবে।