নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহান আর্দশ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রধান নিয়ামক। উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গঠন করতে হলে বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া আদর্শের পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গণভোজ এবং খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। এসময় পঞ্চসার ইউনিয়নের মুক্তারপুর ফেরিঘাট, নয়াগাঁও, চর মুক্তারপুর, দশকানি, ভট্টাচার্য্যরে বাগ, বাইন্নাবাড়ি, তেলিরবিল, নতুনগাঁও, পঞ্চসার চৌরাস্তা, মালিরপাথর, বিনোদপুর, আধারিয়াতলা, দেওয়ানবাজার, সরদারপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৫ হাজার মানুষের মাঝে চাল, ডাল, তেল, লবণ, আলুসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন তিনি। এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের নিহত সদস্যদের এবং ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সকল কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা তপন, জেলা পরিষদ সদস্য আরিফুর রহমান, গোলাম রসুল সিরাজী রোমান, পঞ্চসার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি শহিদুল ঢালী, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সরদার রুবেল, ইমরান, মামুন মিয়া, ঝর্ণা বেগম, জেলা কৃষক লীগের সদস্য সচিব বাদশা মিয়া, জাতীয় শ্রমিক লীগ শিল্পায়ন আঞ্চলিক শাখার সভাপতি আবুল কাশেম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক আপন দাস, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম পলাশ, জেলা যুবলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক হামিদুল হক আজম, ব্যবসায়ী গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় জীবনের কেন্দ্র ছিল জনগণ। জনগণের জন্য ভালোবাসা ছিল তার সব কর্মকান্ডের প্রেরণা, জনগণের ওপর বিশ্বাস ছিল তার কর্মকান্ডের ভিত্তি এবং জনগণের কল্যাণই ছিল তার সব কর্মকান্ডের লক্ষ্য। নির্যাতিত-নিপীড়িত, লাঞ্ছিত-বঞ্চিত-শোষিত মানুষের মুক্তিই ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবনের একমাত্র ব্রত। শুধু বাঙালি জাতিই নয় সমগ্র বিশ্বের তথা মানবজাতির শান্তি প্রতিষ্ঠার সংকল্প বাঁসা-বেঁধেছিল বঙ্গবন্ধুর চিন্তাজগত জুড়ে। বঙ্গবন্ধু বলেছেন, ‘একজন মানুষ হিসেবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবি। একজন বাঙালি হিসেবে যা কিছু বাঙালিদের সঙ্গে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। এই নিরন্তর সম্পৃক্তির উৎস ভালোবাসা, অক্ষয় ভালোবাসা, যে ভালোবাসা আমার রাজনীতি এবং অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে।’
তিনি বলেন, এদেশের মানুষের মৌলিক মানবাধিকার থেকে শুরু করে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মুক্তি সর্বোপরি উন্নয়ন-সমৃদ্ধি সকল কিছুই অর্জিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির সভ্যতা, সংস্কৃতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, শান্তিময় জীবনের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। শোকের মাসে আজকের এ অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে শুধু একটি কথাই বলবো- বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী বা অনুসারী বলে দাবী করতে হলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে আত্মনিবেদন করতে হবে। শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া আদর্শের পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে।