নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেছেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আগামী প্রজন্মকে দক্ষ ও মানবিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসমৃদ্ধ প্রজন্ম গড়ে তুলতে আধুনিক শিক্ষা অবকাঠামো ও প্রয়োজনীয় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের সুযোগ সম্প্রসারিত করতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে সেই প্রচেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকার।
গতকাল মঙ্গলবার মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার ৩৭৭ জন কৃতী শিক্ষার্থীর মাঝে ট্যাব বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়ক উপহার হিসেবে উপজেলা প্রশাসন ও পরিসংখ্যান বিভাগের উদ্যোগে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার ২৬টি এমপিওভুক্ত ৩টি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নবম ও দশম শ্রেণির সমন্বিত মেধা তালিকায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করা ৩৭৭ জন কৃতী শিক্ষার্থীর হাতে এই ট্যাব বিতরণ করা হয়। উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোঃ আল জুনায়েদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ট্যাব বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনিছ উজ্জামান আনিছ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নানা প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে একসময়ের মঙ্গা-খরা দুর্যোগকবলিত বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে উন্নয়ন ও অগ্রগতির অভিযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন আজ তা দৃশ্যমান বাস্তবতা। বাংলার মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তরুণসমাজের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং তারুণ্যের বিশ^জয়ের পথ উন্মুক্ত করতে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে তিনি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা বাঙালি জাতিকে এখন পর্যন্ত যে যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে তা অসম্ভব-প্রায় মনে হলেও তিনি সেসকল স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা থাকলে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নও বাস্তবায়ন হবে। বাংলার মানুষ উন্নত-সমৃদ্ধ জীবনের অধিকারী হবে এবং স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট জাতি গড়ে উঠবে।
তিনি বলেন, আগামী প্রজন্মকে একটি দক্ষ, মানবিক, স্মার্ট প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলতে হলে শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের সুযোগ সম্প্রসারণ করতে হবে। সেই লক্ষ্যে বর্তমান সরকার প্রান্তিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহেও কম্পিউটার ল্যাব, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, দ্রুত গতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিয়েছে। গ্রামে বসেই শিক্ষার্থীরা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পাচ্ছে।