নিজস্ব প্রতিবেদক : উচ্চ আদালতের আদেশে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রধান এক বছরের জন্য চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছেন। তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন তিনি।
খবর নিয়ে জানা যায়, মিজানুর রহমান প্রধান গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কিছুদিন অনুপস্থিত ছিলেন। সরকার পরিবর্তনের পর গত বছর ৫ আগস্ট থেকে আত্মগোপনে চলে যান তিনি। দাপ্তরিক কর্মকান্ডে অচলাবস্থা তৈরি হলে ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান এবাদুল হককে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেয় সরকার। এর প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রধান। ওই রিট পিটিশনের প্রায় নয় মাস পর এবাদুল হককে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন থেকে তিন মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট আদালত। একই আদেশে চেয়ারম্যান পদে মিজানুর রহমান প্রধানের দায়িত্ব পালনে কোন বাধা নেই বলেও উল্লেখ করা হয়।
জানা গেছে, ওই আদেশের তিন মাস মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে আবারও উচ্চ আদালত রিট পিটিশন দায়ের করেন মিজানুর রহমান প্রধান। ওই রিট পিটিশনের শুনানি শেষে আদালত তিন মাসের জন্য দেওয়া আদেশটি আরও ১২ মাস অর্থাৎ এক বছরের জন্য বর্ধিত করে আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মিজানুর রহমান প্রধানের আইনজীবী এডভোকেট নুরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা উচ্চ আদালতে একটি রিট পিটিশন দায়ের করি। এর প্রেক্ষিতে গত ১৬ জুলাই বিচারপতি মোঃ হাবিবুল গনি ও বিচারপতি এস কে. তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মিজানুর রহমান প্রধানের অনুকূলে এক বছরের জন্য চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালনের একটি আদেশ দেন।
এ বিষয়ে মিজানুর রহমান প্রধান বলেন, গত ২১ জুলাই আদেশের কপি হাতে পেয়েছি। এরপরই চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছি।
এ প্রসঙ্গে বাউশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবাদুল হক মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে আদেশের খবর পেয়ে ছাত্র-জনতা তাকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে।
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, আনঅফিসিয়ালি বিষয়টি আমি জেনেছি। এ বিষয়ে অফিসিয়ালি কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মুন্সীগঞ্জের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মৌসুমী মাহবুব বলেন, এরকম একটি খবর আমিও পেয়েছি, তবে অফিসিয়ালি কোন চিঠি পাইনি। যদি তিনি আদালতের রায়ে এক বছরের জন্য চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পান তবে আমরা রায় অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আদালতের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই আমাদের।