নিজস্ব প্রতিবেদক
সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো ক্রীড়াঙ্গনের অনেক মানুষ করোনাভাইরাস দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ। বিশেষ করে অসহায় ক্রীড়াবিদরা। বিভিন্ন ব্যক্তি ও ফেডারেশন নিজের মতো করে অসহায় ক্রীড়াবিদদের সহায়তা করে আসছে। এবার সরকার এগিয়ে এসেছে ক্ষতিগ্রস্থ ক্রীড়াবিদদের তালিকা করে তাদের পাশে দাঁড়ানোর। করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় ক্রীড়াবিদদের কিভাবে সহযোগিতা করা যায় সেলক্ষ্য নির্ধারণের জন্য গতকাল বুধবার দুপুরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে সভায় বসেছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ২৭ ফেডারেশনের ১০০০ ক্রীড়াবিদকে ১০ হাজার টাকা করে সাহায্য প্রদান করা হবে। সভা শেষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, পুরো বিশ্ব আজ স্থবির ও আতঙ্কিত। একসঙ্গে এত মানুষ ঘরবন্দী- এমন দুর্যোগ বিশ্ববাসী আগে দেখেছে কিনা সেটা আমার জানা নেই। এই দুর্যোগে সকল মানুষই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ক্রীড়াঙ্গন তার বাইরে নয়। তিনি আরও বলেন, ভাইরাসটি এমন সময় আক্রমণ করেছে যখন আমাদের সব ধরনের খেলাই চলছিল। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ কিছু খেলা, যেগুলো খেলোয়াড়দের সারা বছরের একটা আয়ের উৎস। খেলা বন্ধ হওয়ার কারণে সকলেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এ কারণে, কয়েকদিন আগেও একটি সভা করেছিলাম যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে এ নিয়ে। আজ (গতকাল বুধবার) দ্বিতীয় সভা করলাম। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি আমাদের সহযোগিতা করবেন এবং কয়েকজনকে বলে দেবেন, যারা খেলোয়াড়দের মানবিক সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসেন। সেই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে আমরা সহায়তা করবো। যৌথভাবে আমরা অসহায় ক্রীড়াবিদদের জন্য বরাদ্দ দেয়ার চেষ্টায় আছি। মানবিক সহায়তাগুলো কয়েক স্তরে দেয়ার চিন্তা করছি। প্রথম ধাপে আমরা বিভিন্ন ফেডারেশন থেকে প্রায় ১০০০ অসহায় ক্রীড়াবিদদের সহায়তা দেবো। আপাতত ২৭ ফেডারেশন থেকে যাদের সহায়তা না দিলেই নয় তাদের তালিকা আনছি। প্রত্যেককে আমরা ১০ হাজার টাকা করে দেয়ার চিন্তাভাবনা করছি। এছাড়া দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্মানী ভাতার ব্যবস্থা আছে। ক্রীড়াঙ্গনে কেন সেই সম্মানী ভাতা থাকবে না? আমরা ইতোমধ্যে এই ভাতা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। অনলাইনে আবেদনও চেয়েছিলাম। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে প্রক্রিয়া চূড়ান্তের কাছাকাছি আসার পর স্থগিত করেছি। ঈদের পর আমরা ঐ সহায়তাও দিতে পারব। ৬৪ জেলাকে আমরা চিঠি দিচ্ছি। করোনায় যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের প্রতিমাসে ২ হাজার টাকা করে এককালীন ২৪ হাজার টাকা প্রদান করব। তাতে ক্রীড়াবিদরা কিছুটা হলেও উপকৃত হবে।