নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মুন্সীগঞ্জের ব্যবসায়ী সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। মুন্সীগঞ্জকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ এবং অনুকরণীয় অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে। মুন্সীগঞ্জের উন্নয়ন-অগ্রগতি এবং শান্তি ও কল্যাণের প্রতিবন্ধক অপশক্তির বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মুন্সীগঞ্জ জেলা বিজনেস ফেডারেশনের তৃতীয় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আওলাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক মাহবুব হাসান সরকারের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আশরাফুর রহমান, এফবিসিসিআই এর সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও বর্তমান পরিচালক মীর নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ সিআইপি, নান্নু গ্রুপের সিএমডি বি এম শোয়েব সিআইপি, শাহ শের আলী গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মান্নান সরকার সিআইপি, আইডিয়াল টেক্সটাইল মিলস্ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামছুল আলম সবজল, যমুনা মিটার ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ এর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সেলিম আহম্মেদ ভূইয়া, আর্থ হোল্ডিং লিমিটেড এর চেয়ারম্যান হাফিজ আল আসাদ, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার, বি.কে অটোমোবাইলস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাধারণ শ্রমিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শেখ আব্দুল করিম, জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ (নাসিব) মুন্সীগঞ্জ জেলা সভাপতি মোহাম্মদ আরফিন এবং জেবা গ্রুপের চেয়ারম্যান আলী হোসেন মতু। এসময় মুন্সীগঞ্জ জেলা বিজনেস ফেডারেশন এর আহ্বায়ক মোঃ মহিউদ্দিন জুয়েল, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ রাজিব হাসান ও মোঃ আবুল খায়ের, সাধারণ সম্পাদক এস এম উজ্জ্বল হোসেনসহ মুন্সীগঞ্জ জেলার স্বনামধন্য ব্যবসায়ী ও বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, ব্যবসার সাফল্য একটি দেশের প্রবৃদ্ধি, সামগ্রিক টেকসই উন্নয়নে সহায়তা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। বাংলাদেশের মতো বিপুল জনসংখ্যা ও উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে ব্যবসায়ী সমাজ। ব্যবসা অর্থনৈতিক কাঠামোর অন্যতম শক্তিশালী ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবসার গুরুত্ব অপরিসীম। সে হিসেবে ব্যবসায়ীরা হলেন অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম সারথী।
তিনি বলেন, ব্যবসা একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান। এটি দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। শুধু মুনাফা অর্জন ব্যবসার মুখ্য উদ্দেশ্য নয়। বরং মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ তথা ভোক্তা, ক্রেতা, শ্রমিক, কর্মচারী, রাষ্ট্র, সমাজসহ সবার প্রতি যথাযথ দায়িত্ব পালন ও সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একান্ত কর্তব্য ও দায়বদ্ধতা। ব্যবসায়িক মূল্যবোধ, নীতি ও নৈতিকতা যথাযথভাবে মেনে চলা কল্যাণমূলক অর্থনীতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
তিনি আরও বলেন, মুন্সীগঞ্জকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ এবং অনুকরণীয় অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে। মুন্সীগঞ্জের উন্নয়ন-অগ্রগতি এবং শান্তি ও কল্যাণের প্রতিবন্ধক অপশক্তির বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সত্যের পথে, সুন্দরের সাথে, শান্তির আহ্বানে, সততার ডাকে সাড়া দিয়ে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ও সুসভ্য সমাজ বিনির্মাণের অঙ্গীকারে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।