মিজান আহম্মেদ বিক্রমপুরী
প্রাচীন বাংলার রাজধানী বিক্রমপুর মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠিত মুঘল আমলের নজরকাড়া ঐতিহ্যবাহী অস্টানি মসজিদ। ১৮ শতকে নির্মিত একটি প্রাচীন মসজিদ। বিক্রমপুর বর্তমানে এ অঞ্চলটি মুন্সীগঞ্জ জেলা হিসেবে পরিচিত। একসময় বিক্রমপুর নগরীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল বিশাল জনপদ। তাই এ জেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে আছে অনেক প্রাচীন নিদর্শন। টঙ্গীবাড়ী উপজেলা আউটশাহী ইউনিয়নের আউটশাহী গ্রামের কবরস্থানের ভিতরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী অস্টানি মসজিদ। মসজিদ দেখতে বছরজুড়ে এখানে আসেন পর্যটক ও দর্শনার্থীরা। তবে পর্যটকদের আকর্ষণ ধরে রাখা বা ঐতিহ্যের সাক্ষী হিসেবে টিকে থাকা এ স্থাপনা সংরক্ষণে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। মসজিদের ভেতরে প্রবেশ পথের উপরে ফারসি ভাষায় পাথরে খচিত শিলালিপিটি চুরি হয়ে যায় জনশ্রুতি রয়েছে। মসজিদটি আকারে খুবই ছোট। একসময় এখানে ছিল হিন্দু জমিদারদের প্রভাব প্রতিপত্তি। তাই মুসলিম সংখ্যা ছিল অনেক কম। মসজিটি আকারে খুবই ছোট। এই মসজিদে ১০ জন জামাত করে নামাজ পড়া যেত। কালের সাক্ষী ঐতিহ্যবাহী অস্টানি মসজিদ সংরক্ষণে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। আমাদেরই ইতিহাস, আমাদেরই ঐতিহ্য। এগুলো সংরক্ষণের দায়িত্ব কি আমাদেরও নয়? ইতিহাসের এই স্মারকগুলোকে বাঁচানো কি আমাদেরও কর্তব্য নয়? আর তাই তো ক্যামেরাবন্দি করেছি এবার শুধু সরকারের সামনে আর্জি করার পালা। আপনারা আমার সঙ্গে আছেন তো? তা না হলে, স্থাপনাগুলো উদ্ধার করা না গেলে অচিরেই যে এগুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে।